স্বপ্ন দেখিয়ে হংকংয়ের পথে জামাল-হামজারা

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের লড়াইয়ে টিকে থাকার সমীকরণ এখন অনেক জটিল বাংলাদেশের জন্য। তৃতীয় ম্যাচে হংকং চায়নার বিপক্ষে ৪-৩ ব্যবধানে হেরে ‘সি’ গ্রুপের তলানিতে নেমে গেছে হাভিয়ের কাবরেরার দল। তিন ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের সামনে এখন বাকি তিন ম্যাচে টানা জয়ের কোনো বিকল্প নেই। সেই স্বপ্ন নিয়ে আজ হংকংয়ের পথে দেশ ছাড়লেন জামাল ভূঁইয়া-হামজা চৌধুরীরা। 

গ্রুপে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে হংকং, ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে সিঙ্গাপুর, আর ২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ভারত। ফলে গ্রুপের সেরা হতে হলে এবং বাছাইয়ে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশকে বাকি সব ম্যাচেই জিততে হবে।

ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে রোমাঞ্চকর ৭ গোলের ম্যাচে বাংলাদেশের হার এসেছে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে, যা দলের পুরনো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ম্যাচ শেষে স্বীকার করেন, ‘এই দলের একটা ইতিহাস আছে-আমরা শেষ মুহূর্তে গোল হজম করি। এই ম্যাচের আগেও বলেছিলাম, পুরো ম্যাচে মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। কিন্তু আমরা পারিনি।’

জামালের কথায় হতাশার সুর থাকলেও ভেসে আসে আত্মবিশ্বাসও, ‘আমাদের হাতে এখনো তিন ম্যাচ আছে। তিনটিতেই জিততে হবে। এক পয়েন্ট হারালেই বিদায়। কিন্তু জেতা অসম্ভব নয়।’

বাছাইয়ের প্রথম দুই ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পাননি জামাল ভূঁইয়া। হংকংয়ের বিপক্ষে প্রথম লেগেও ছিলেন বেঞ্চে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে শমিত শোম, ফাহামিদুল ইসলাম ও জায়ান আহমেদের সঙ্গে মিলে ম্যাচে গতি আনেন। শমিতের গোলে বাংলাদেশ সমতায় ফিরলেও শেষ পর্যন্ত জয়ের দেখা মেলেনি।

এই চার প্রবাসী খেলোয়াড়ের শুরুর একাদশে না থাকা নিয়ে সমালোচনা ওঠে কোচ হাভিয়ের কাবরেরার সিদ্ধান্ত নিয়ে। জামালও বলেন, ‘আমি যখন না খেলি, সেটা ভুল-এটা আমি বলব। আমি সব ম্যাচ খেলতে চাই। তবে দিনশেষে সিদ্ধান্ত কোচের।’

১৪ অক্টোবর হংকংয়ে ফিরতি লেগের ম্যাচে শুরুর একাদশে খেলার সুযোগের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন জামাল ভূঁইয়া, ‘আমি, শমিত, ফাহামিদুল, জায়ান যখন ওয়ার্মআপ শুরু করি, তখন বলেছিলাম-আমরা যখন নামব, ম্যাচের গতিপথ বদলাতে হবে। আমাদের ইমপ্যাক্ট ভালো ছিল। এবার আমরা শুরু থেকেই মাঠে নামতে চাই।’

ফিরতি ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দল হংকংয়ের পথে উড়াল দিয়েছে আজ শুক্রবার। দেশ ছাড়ার আগে সাংবাদিকদের সামনে জামাল বলেন, ‘আমরা হাল ছাড়ছি না। সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাই। আগের ম্যাচে ৩ পয়েন্ট চেয়েছিলাম, পাইনি। এবার কিছু দিতে পারব, ইনশাল্লাহ।’

তবে তিনি সতর্কও, ‘জেতার জন্য পুরো ম্যাচে মনোযোগী থাকতে হবে। শেষ মুহূর্তে খেই হারালে সুযোগ নষ্ট হবে। আমাদের সেটা বদলাতে হবে।’

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের কঠিন পথে বাংলাদেশ এখন অঙ্কের খেলায় টিকে আছে কাগজে-কলমে।