আবুধাবিতে মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। সিরিজ হার আগেই নিশ্চিত, তাই মেহেদী হাসান মিরাজের দলের সামনে চ্যালেঞ্জ ছিল অন্তত একটি জয় দিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ানো। কিন্তু আফগানিস্তান সে আশাকে কঠিন করে তুলেছে মোহাম্মদ নবীর তাণ্ডবে। শেষ দিকে তার বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে আফগানরা গড়েছে ৯ উইকেটে ২৯৩ রানের লড়াকু সংগ্রহ।
দিনের শুরুটা ছিল আফগানদের দাপটে ভরা। রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান উদ্বোধনী জুটিতে তুলেছিলেন ৯৯ রান। প্রথম ১০ ওভারে আসে ৬৬ রান-যা শুরুতেই বাংলাদেশকে চাপে ফেলে। তবে ১৬তম ওভারে এসে তানভির ইসলামের হাতে খানিকটা স্বস্তি পায় টাইগার শিবির। ৪৪ রান করা গুরবাজকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান তিনি।
ইব্রাহিমের ব্যাট অবশ্য থামেনি। আগের ম্যাচের মতো এবারও সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় গিয়ে থেমে যান তিনি-৯৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে আউট হন সাইফ হাসানের বলে। এই সাইফই হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের সেরা বোলার। মাত্র ৪ ওভারে ৬ রান খরচায় নেন ৩টি উইকেট, তাতে ফেরান শাহিদি, সেদিকউল্লাহ ও অতলকে। তার ঘূর্ণি একসময় যেন আশার আলো জ্বেলে দেয় বাংলাদেশ শিবিরে।
কিন্তু আফগানিস্তানের ব্যাটিংয়ে প্রাণ ফেরে শেষের দিকে। যখন ২২১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে দল, তখন ক্রিজে আসেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবী। অভিজ্ঞতা আর শক্তির মিশেলে গড়ে তোলেন আগুনঝরা ইনিংস। শেষ পাঁচ ওভারে ঝড় তোলেন তিনি-একাই তুলে ফেলেন ৬৭ রান। মিরাজের এক ওভারে তিন ছক্কা, এরপর হাসান মাহমুদের ওভারে তিন চার ও এক ছক্কা মেরে পূর্ণ করেন ৩৫ বলে ওয়ানডের ১৮তম ফিফটি।
শেষ পর্যন্ত ৩৭ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন নবী। তার ইনিংসে ছিল পাঁচ ছক্কা ও চারটি চার। শেষ ১২ বলে আফগানিস্তান যোগ করে ৪৪ রান, আর তাতেই দাঁড়িয়ে যায় ২৯৩ রানের টার্গেট।
বাংলাদেশের হয়ে তানভির ইসলাম ও হাসান মাহমুদ নেন দুটি করে উইকেট, মিরাজ পান একটি।