আফিফের হ্যাটট্রিকে কাঁপল বরিশাল, সেঞ্চুরি পেলেন নাঈম–রনি

জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনটা ছিল যেন বোলারদের উৎসব। কোথাও স্পিন, কোথাও গতি—সব মিলিয়ে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখা গেছে ব্যাট-বলের এক দারুণ দ্বৈরথ। খুলনায় আফিফ হোসেন ধ্রুবর হ্যাটট্রিক, রাজশাহীতে হাসান মুরাদের ছয় উইকেট আর রংপুর ও ময়মনসিংহে নাঈম ইসলাম ও আবু হায়দার রনির সেঞ্চুরি মিলিয়ে দিনটি পরিণত হয় বৈচিত্র্যময় ক্রিকেটের এক উজ্জ্বল উদাহরণে।

খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে দিনটি শুরু হয়েছিল ৩১২ রানে ৯ উইকেট হাতে থাকা খুলনার ইনিংস দিয়ে। মাত্র এক রান যোগ করেই ৩১৩ রানে থামে ইনিংস। তবে আসল গল্প শুরু হয় বরিশালের ব্যাট হাতে নামার পর। আফিফ হোসেনের ঘূর্ণিতে ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ে একেবারে শুরুতেই। ৩১ রানে ৬ উইকেট নেওয়া এই তরুণ অলরাউন্ডার ৪২তম ওভারে টানা তিন বলে তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের অনন্য কীর্তি গড়েন। তার শিকার হন শামসুল ইসলাম, ইয়াসির আরাফাত মিশু ও রুয়েল মিয়া।

এই স্পিন জাদুর সামনে বরিশালের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১২৬ রানে। ফলো-অনে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসেও ভালো সূচনা ধরে রাখতে পারেনি দলটি। ১১৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে তারা, এখনও ৬৮ রানে পিছিয়ে। শামসুর রহমান ২৪ ও তাসামুল হক ৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন।

মিরপুরে অন্য ম্যাচে দিনটি ছিল রংপুরের নাঈম ইসলামের। ঢাকার ২২১ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেটে ৩০৮ রান করে দলটি। এক প্রান্ত আগলে ১১১ রানে অপরাজিত রয়েছেন অভিজ্ঞ নাঈম, সঙ্গে তানভীর হায়দারের ব্যাট থেকেও এসেছে ৪৫ রান। এই ইনিংসে রংপুর এগিয়ে গেছে ৮৭ রানে, যা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ দিয়েছে তাদের হাতে।

সিলেটের বিপক্ষে ময়মনসিংহের মাঠেও আলো ছড়িয়েছেন এক বাঁহাতি, তবে তিনি বোলার নন পেসার হলেও এদিন রনির ঝলক ছিল ব্যাট হাতে। ১০৭ রানের দারুণ সেঞ্চুরি তুলে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন আবু হায়দার রনি। ৪০১ রানে শেষ হয় ময়মনসিংহের ইনিংস। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে সিলেটের সংগ্রহ ১৯৮/৫; এখনো ২০৩ রানে পিছিয়ে তারা।

রাজশাহীতে দিনটি পুরোপুরি ছিল চট্টগ্রামের স্পিনার হাসান মুরাদের। ৩৯ রানে ৬ উইকেট নিয়ে রাজশাহীর ইনিংস শেষ করেন তিনি ১৯৬ রানে। ৪০১ রানের জবাব দিতে নেমে রাজশাহী গুটিয়ে যায় ৫৪.৪ ওভারে। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে চট্টগ্রাম ১৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে, তাদের লিড এখন দাঁড়িয়েছে ৩৩৮ রানে।

চট্টগ্রামের হয়ে আবারও নজর কেড়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসেও খেলেছেন ৫১ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস। ইয়াসির আলি অপরাজিত রয়েছেন ২৬ রানে, ইরফান শুক্কুর ১৮ রানে সঙ্গ দিচ্ছেন তাকে। রাজশাহীর হয়ে শফিকুল ইসলাম নিয়েছেন তিন উইকেট।