লাল কার্ড পেয়ে ব্রাজিলের মার্তার কান্না চোখে বিদায়!

এমন দৃশ্য কেউ দেখতে চায়নি। কিন্তু প্যারিস অলিম্পিক নারী ফুটবলে ব্রাজিল ও স্পেন ম্যাচে বিশ্ববাসীকে দেখতে হলো সেই অনাকাঙ্ক্ষিত দৃশ্য। নারী ফুটবলের ইতিহাসে জীবন্ত এক কিংবদন্তী ব্রাজিলের মার্তা। সম্ভবত প্যারিস অলিম্পিক ছিল তার ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। অন্য সব খেলোয়াড়দের মতোই সম্মানের সঙ্গে জাতীয় দলকে বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার বিদায়টা হলো ঠিক বিপরীত। লজ্জা আর কান্নায় ভরপুর।

বুধবার (৩১ জুলাই) স্পেনের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ থেকে বহিষ্কৃত হয়। স্পেনের ওলগা কারমোনা বলে হেড নেওয়ার সময় মার্তার পা তার মাথায় লাগে। রেফারি কোনো সময় নষ্ট না করে লাল কার্ড দেখান। তারপরেই মাঠে তৈরি হয় আবেগঘন দৃশ্য। কান্নায় ভেঙে পড়েন ব্রাজিলের হয়ে ছয়টি করে বিশ্বকাপ ও অলিম্পিকে খেলা মার্তা। তার ২০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচটি যে এমন হবে তা হয়তো কল্পনাতেই আনতে পারেননি।

জাতীয় দলের গোলের বন্যা বইয়ে দেওয়া মার্তা এ বছর আন্তর্জাতিক ফুটবলকে ইতি জানানোর ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছিলেন। হয়তো অলিম্পিকের পরেই সেই ঘোষণা দিতেন। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে হয়তো হাজারো করতালির মধ্যে ফুটবলকে বিদায় জানানোর সেই সুযোগ হয়তো তিনি পাবেন না।

এবারের প্যারিস অলিম্পিকেই আবার দেখা যেতে পারে তাকে। তবে তার আগে ব্রাজিলকে অসাধ্য এক সাধন করতে হবে। উঠতে হবে সেমিফাইনালে। তার জন্য হারাতে হবে ‘এ’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসে ফ্রান্সকে।

ব্রাজিল সেমিফাইনালে উঠতে না পারলেও আনুষ্ঠানিকভাবে আরও একটা সুযোগ পেতে পারেন মার্তা। সে জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত। ওই সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক ব্রাজিল। তবে সে সময় মার্তা খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে একটা সন্দেহ থাকছেই। কেননা, ৩৮ বছর বয়সী মার্তা তখন বয়স হবে ৪১।

কিংবদন্তী এই ফুটবল এখনো বিশ্বকাপের স্বাদ পাননি। এমনকি বিশ্বকাপও। তার দলের সর্বোচ্চ সাফল্য রানার্স আপ। ২০০৪ ও ২০০৮ সালে তারা রানার্স আপ হয়েছে।