একুশে পদক হাতে পেল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে নতুন ইতিহাস রচনা করলো নারী ফুটবল দল। গত বছরের সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাজয়ী দল এবার দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা-একুশে পদক পেয়েছে। প্রথমবারের মতো কোনো ক্রীড়া দল এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অর্জন করল।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্দা। তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের অন্য খেলোয়াড়রাও, যারা বাংলাদেশ নারী ফুটবলের এই স্বর্ণযুগের অন্যতম কারিগর।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে পদক গ্রহণ করেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। তখন তার সঙ্গে ছিলেন সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্দা। সাবিনা এরপর দর্শক আসনে থাকা দলের অন্য সদস্যদের ডাক দেন। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ অনুমতিতে পরবর্তীতে চ্যাম্পিয়ন দলের অন্য সদস্যরাও মঞ্চে উঠেন। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছবি তোলেন সবাই।

পদকের জন্য প্রথমে ১১ জন খেলোয়াড়কে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, শেষ পর্যন্ত ২৩ জন খেলোয়াড়ের পাশাপাশি কোচ ও কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ জনকে এই আয়োজনে যোগ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। একুশে পদকের মতো জাতীয় স্বীকৃতি পাওয়া নারী দলটি ২০২৩ সালের অক্টোবরে নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছিল।

এই দলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন—রুপনা চাকমা, ইয়ারজান বেগম, মিলি আক্তার, মাসুরা পারভীন, কোহাতি কিসকু, আফিদা খন্দকার, নিলুফা ইয়াসমিন, শামসুন্নাহার সিনিয়র, শিউলি আজিম, মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্ডা, মুনকি আক্তার, স্বপ্না রানী, আইরিন আক্তার, মাতসুশিমা সুমাইয়া, শাহেদা আক্তার রিপা, ঋতুপর্ণা চাকমা, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র, সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকার, সানজিদা আক্তার ও মোসাম্মাৎ সাগরিকা।

এর আগে কোনো ক্রীড়া দল একুশে পদক অর্জন করতে পারেনি। ২০০১ সালে স্বাধীনতা পদক পেয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), কিন্তু স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল বহুবার আবেদন করলেও এখনো পুরস্কার পায়নি।