ঋতুপর্ণার বাড়ি বানিয়ে দেবে বিসিবি

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক নতুন জোয়ার বইছে, বিশেষ করে ফুটবলে। একদিকে পুরুষ দলের জন্য আসছেন বড় বড় তারকারা, অন্যদিকে নারী ফুটবলে দেখা যাচ্ছে অভূতপূর্ব সাফল্য। এই সাফল্যের পেছনে যাদের অবদান অনস্বীকার্য, তাদের একজন হলেন ঋতুপর্ণা চাকমা। পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্ম নেওয়া এই ফুটবলার আজ দেশের গর্ব।

ঋতুপর্ণার জীবনের বাস্তবতা ফুটবলের মাঠের সাফল্যের চেয়ে একেবারে ভিন্ন। জাতীয় দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়েও তার বাড়ির অবস্থা অত্যন্ত করুণ। বাবাহারা এই মেয়ের পরিবারে উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন তিনিই। অসুস্থ মাকে নিয়ে চলছে তার সংগ্রামী জীবন। বাড়ি বলতে জীর্ণশীর্ণ একটি ঘর, যা কখনোই জানান দেয় না, এখানে বাস করেন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা এক ফুটবলার।

ঋতুপর্ণার বাড়ির এই করুণ অবস্থার খবর সামনে আসার পর বিষয়টি নাড়িয়ে দেয় ক্রীড়াঙ্গনকে। এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আজ বিসিবির সভা শেষে পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু ঘোষণা দেন, ঋতুপর্ণার রাঙামাটির বাড়িতে নতুন ঘর নির্মাণের দায়িত্ব নেবে বিসিবি। 

ঋতুপর্ণার পারফরম্যান্স ২০২৪ সালজুড়ে ছিল অসাধারণ। তার গোলে বাংলাদেশ নারী দল সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়। এরপর মিয়ানমারের বিপক্ষে জোড়া গোল করে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে এশিয়া কাপ খেলার টিকিট এনে দেন তিনি। শুধু তাই নয়, এই বছর ‘সেরা ক্রীড়াবিদ’ এর পুরস্কার অর্জন করেন ঋতুপর্ণা, যেখানে তিনি পেছনে ফেলেছেন জাতীয় দলের দুই তারকা ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদকে।

বর্তমানে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের ১৩ জন খেলোয়াড় ভুটান লিগে খেলছেন। তাদের মধ্যে ঋতুপর্ণা ও তহুরা খাতুন স্বল্প সময়ের জন্য ঢাকায় এসে প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং তিনটি ট্রফি অর্জন করেন। তহুরা খাতুন হয়েছেন বর্ষসেরা নারী ক্রীড়াবিদ।