বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশ থেকে হোম টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি আয় আগের অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের আট মাসে কমেছে ২৯.৯৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ৮ মাসে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৫৩ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। যা আগের অর্থবছরে (২০২২-২৩) একই সময়ে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৭৬ কোটি ৯৮ লাখ ডলার। কমেছে ২৩ কোটি ৫ লাখ ডলার। রপ্তানিকৃত হোম টেক্সটাইলসের মধ্যে রয়েছে- বিছানা চাদর, রান্নাঘরের টয়লেট লিলেন, তাবু, নতুন টুকরো কাপড়, স্ক্র্যাপ সুতা।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইপিবির প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, হোম টেক্সটাইল চলতি অর্থবছরের রপ্তানি হয়েছে ৫৩ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। আর সরকারের পক্ষ থেকে এ পণ্যটি রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল ৮১ কোটি ৯০ লাখ ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কমেছে ২৭ কোটি ৯৭ লাখ ডলার বা ৩৪ দশমিক ১৫ শতাংশ।
বিছানার চাদর ও রান্নাঘরের টয়লেট লিলেন পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২৭ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার। যা আগের অর্থবছরের একইসময়ে আয় হয়েছিল ৩৪ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার। অর্থাৎ এ পণ্যটি থেকে রপ্তানি আয় কমেছে ১৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমেছে। সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৪ কোটি ৮১ লাখ ৬০ হাজার ডলার।
তাবু রপ্তানিতে আয় কমেছে ৫ কোটি ৩ লাখ ডলার। সময়টিতে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১২ কোটি এক লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একইসময়ে রপ্তানি আয় হয়েছিল ১৭ কোটি ৩ লাখ ডলার। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি আয় কমেছে ৪৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২১ কোটি ২২ লাখ ডলার।
নতুন টকরো কাপড় ও স্ক্র্যাপসুতা ৮ মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ৬ কোটি ৭৮ লাখ ৩০ হাজার ডলার। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ৭ কোটি ৭৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। কমেছে ১২ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
এছাড়া হোম টেক্সটাইলসের মধ্যে অন্যান্য পণ্য চলতি অর্থবছরের এ সময়ে রপ্তানি হয়েছে ৭ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। যেটি আগের অর্থবছরের একইসময়ে আয় হয়েছিল ১৮ কোটি দুই লাখ ডলার। কমেছে ১০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার বা ৫৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
এ খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় পণ্যটির রপ্তানি কমেছে। একইসাথে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি রাসায়নিক দ্রব্যের দাম, সুতার দাম, পরিবহন ও জ্বালানি খরচের মতো অন্যান্য কারণে হোম টেক্সটাইল পণ্যের উৎপাদন খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। তবে উৎপাদন খরচসহ অন্যান্য খরচ কমিয়ে আনা গেলে এ পণ্যটির আয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।