সবজির বাজারে কিছুদিন সস্তি থাকলেও হঠাৎ করেই যেন আবার তা অস্থির হয়ে উঠেছে। গেলো কয়েক মাস সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে যে স্বস্তি ছিল, এখন আর তা নেই। বেশির ভাগ সবজির দাম এখন ৭০ টাকার উপরে। এছাড়া মূল্য বাড়ার তালিকায় রয়েছে পেঁয়াজ ও ডিম।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়শ, পটোল, শালগম, ঝিঙা, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। প্রতি কেজি করল্লা ও বেগুন কিনতে হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। এর চেয়েও বেশি দামে প্রতি কেজি বরবটি ও কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়। শজিনার দাম দেখা গেছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা।
এছাড়া প্রতি কেজি গাজর ও টমেটো দাম ৩০-৪০ টাকা। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। মানভেদে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০-১০০ টাকায়। তবে বাজারে আলুর দাম এখনও কম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। এদিকে, সবজির দাম বাড়লেও তা গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম। গত বছরের এই সময় বেশির ভাগ সবজির দাম ৮০ টাকার উপরে ছিল।
এদিকে, পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি ভালো মানের পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬৫ টাকায়। এছাড়া হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। তবে মহল্লার দোকানগুলোতে পেঁয়াজের দাম আরও বেশি।
এরমধ্যে রমজান মাসে ফার্মের মুরগীর ডিম প্রতি ডজন ১১৫ টাকায় নেমে এসেছিল। তবে গত তিন-চার দিন ধরে তা আবার ঊর্ধ্বমুখী। আজকের বাজারে ফার্মের প্রতি ডজন ডিম (বাদামি রঙ) বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ১১৫ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে। রোজার শেষদিকে এসে মুরগির দাম বেড়েছিল। তবে এখন অনেকটা কম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা ও সোনালি জাতের মুরগি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা।
সবজির এমন দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা জানান, শীতকালীন সবজির মৌসুম শেষ। এখন গ্রীষ্মকালীন কিছু সবজি আসা শুরু হয়েছে। এগুলোর উৎপাদন খরচ তুলনামূলক বেশি। দামও শুরুর দিকে একটু বেশি থাকে। গেলো শীতে সবজির দাম অনেক কম ছিল। এতে কৃষকদের লোকসান গুনতে হয়েছে। ফলে এখন তারা কিছুটা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন।
যাত্রাবাড়ি বাজারের সবজি বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, বাজারে এখন যেসব সবজি আসছে সেগুলোর উৎপাদন ব্যয় বেশি হওয়ায় কৃষক দাম বেশি নিচ্ছেন। ফলে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
রুমা খান নামের এক ক্রেতা বলেন, রোজায় সবজির দাম কম থাকলেও, ঈদের পর থেকেই তা আগের রূপে একটু একটু করে ফিরছে। সাধারণ মানুষের স্বস্তিতে ও মূল্য বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরতে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে।