ঈদের লম্বা ছুটিতে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল

পবিত্র ঈদুল আজহার টানা ১০ দিনের ছুটি চলছে। এই দীর্ঘ ছুটিতে কক্সবাজারে নেমেছে হাজার হাজার পর্যটকের ঢল। দেশের নানা স্থান থেকে আসা পর্যটকের কোলাহলে যেন এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম এই সমুদ্র সৈকতে।

 

সোমবার (৯ জুন) সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্ট ঘুরে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে। সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে আসছেন সমুদ্র উপকূলে।

সমুদ্র সৈকত ছাড়াও পর্যটন এলাকার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। আবার কেউ কিটকটে বসে সাগর দেখছেন, কেউ বিচ বাইক বা ঘোড়ায় ঘুরছেন, আবার কেউ উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে জেটস্কি চালিয়ে উপভোগ করছেন ছুটির আনন্দ।

নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা এক দর্শনার্থী জানান, পরিবার নিয়ে আজ সকালেই কক্সবাজারে এসেছি। ডলফিন মোড়ের একটি হোটেলে উঠেছি। রুম ভাড়া একটু বেশি হলেও পরিবেশ দারুণ লাগছে। ঢাকা থেকে আসা আরেক দর্শনার্থী বলেন, দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা শেষে এবার কক্সবাজারে আসা হলো। সাগরের গর্জন আর পরিবেশ মন জুড়িয়ে দিচ্ছে।

জানতে চাইলে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, ঈদের ১০ দিনের এই দীর্ঘ ছুটিতে ইতোমধ্যে কক্সবাজারে লাখো পর্যটক ভিড় জমিয়েছেন। পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের প্রায় সব কক্ষই বুকিং হয়ে গেছে। 

সমুদ্র সৈকতের নিরাপত্তায় কাজ করছেন বিচ কর্মী ও লাইফ গার্ডরা। বিচ সুপারভাইজার মাহবুব আলম বলেন, আজ সকাল থেকেই সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যটকের ঢল নেমেছে। আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি সব রকমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে।

সি সেফ লাইফ গার্ডের ইনচার্জ জয়নাল আবেদীন ভুট্টু জানান, এই মুহূর্তে সমুদ্র কিছুটা উত্তাল। নিরাপদ স্থানে হলুদ পতাকা, বিপজ্জনক স্থানে লাল পতাকা টানানো হয়েছে। কিন্তু অনেক পর্যটক নিয়ম না মেনে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে গোসলে নামছেন এটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা নিয়মিত সচেতন করছি।

পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রশাসনও সক্রিয় রয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ঈদের ছুটিতে আগত পর্যটকদের সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে কাজ করছে।