ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

আপডেট : ০৮ জুন ২০২৫, ০৯:৪৩ পিএম

ঈদুল আজহার ছুটিতে লাখো পর্যটকের ঢল নেমেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউস ও কটেজের প্রায় সবগুলোই বুকিং হয়ে গেছে। বিশেষ করে রোববার (৮ জুন) সকাল থেকে দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকরা কক্সবাজারে আসা শুরু করেছেন। তারা সাগরের নীল জলরাশি ও বিস্তৃত বালিয়াড়ি সৈকতে পরিবার নিয়ে ঘুরছেন। সৈকতে বসানো কিটকটগুলোও পুরোপুরি ভর্তি।

হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, ঈদের দশ দিনের ছুটিতে পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। কুমিল্লা থেকে আগত সুদাইস নামে এক পর্যটক বলেন, ঈদের ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে আজ সকালে কক্সবাজারে এসেছি। ডলফিন মোড়ে একটি হোটেলে উঠেছি, রুম ভাড়া একটু বেশি হলেও আনন্দ অনুভব করছি।

 

ঢাকা থেকে আসা হুমায়ূন আজাদ নামে আরেক পর্যটক বলেন, দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা ছিল কক্সবাজারে আসার, অবশেষে পরিবারসহ এসেছি। সমুদ্রের পরিবেশ খুবই ভালো। সিলেট থেকে আগত কামরুল বলেন, এটি আমার প্রথম কক্সবাজার সফর। এত মানুষের সমাবেশ আগে কখনও দেখিনি।

সৈকতে পর্যটকদের সেবা ও নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত মাহবুব আলম নামে একজন বলেন, সকাল থেকে লাখো পর্যটক কক্সবাজারে আসছেন। লাবনী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট ও কলাতলীতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। নিরাপত্তা বিষয়ক সি সেফ লাইফ গার্ডের ইনচার্জ জয়নাল আবেদীন ভুট্টু জানান, সমুদ্র সৈকত উত্তাল থাকায় নিরাপদ গোসলের স্থানগুলো হলুদ পতাকা দিয়ে চিহ্নিত এবং বিপজ্জনক স্থানগুলো লাল পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। অনেক পর্যটক নিয়ম মানছে না, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, ঈদের ছুটিতে আগত পর্যটকদের সেবা দিতে সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত রাখা হয়েছে।

Raj/FJ
আরও পড়ুন