ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক অ্যাডিডাসের কেডস পরে কোনঠাসা। নেট্দুনিয়ায় তিনি ব্যাপক ট্রোলিংয়ের শিকার হন। অভিযোগ, অ্যাডিডাসের ঐতিহ্যবাহী এই কেডস পরে প্রধানমন্ত্রী আসলে নিজেকে তরুণ আর প্রাণশক্তিতে ভরপুর নেতা হিসাবে নিজেকে তুলে ধরতে চাইছেন। এতে করে এই কেডসের গরিমা নষ্ট হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত কেডস পায়ে দেয়ায় সুনাককে ক্ষমা চাইতে হয়েছে।
সাদা শার্ট-কালো প্যান্টের সঙ্গে বিখ্যাত অ্যাডিডাস কেডস প্রস্তুতকারী সংস্থার সামবাস পরে সাক্ষাৎকার দিতে বসেছিলেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা। পায়ে ছিল কেডস ছিল ধূসর, সাদা আর নীল রঙের। ব্রিটেনের আয়কর ব্যবস্থা নিয়ে নারী সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন সুনাক। কিন্তু সাক্ষাৎকারের ভিডিও প্রকাশ্য আসার পর থেকেই নেটদুনিয়ার নজর কেড়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এই কেডসজোড়া।
এরপর থেকেই তিনি নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অতি সুন্দর এক জোড়া কেডস পায়ে দেয়ার জন্য কেন তোপের মুখে পড়লেন? ফ্যাশন বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যাডিডাসের সামবাস কেডস যথেষ্ট ঐতিহ্যবাহী। এমনকি কেডসের দুনিয়ায় কিংবদন্তিও বলা যেতে পারে। কিন্তু ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আচরণে ক্ষুণ্ণ হয়েছে এই কেডসের মর্যাদা।
শুধুমাত্র যে সোশাল মিডিয়া তা কিন্তু নয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমেরও কটাক্ষের তীর সুনাকের উড়ে এসেছে। এই সংবাদপত্রের দাবি, ঐতিহ্যবাহী এই কেডস পরে আসলে নিজেকে তরুণ আর প্রাণশক্তিতে ভরপুর নেতা হিসাবে নিজেকে তুলে ধরতে চাইছেন সুনাক। তাতেই এই কেডসের গরিমা নষ্ট হচ্ছে।
অব্যাহত বিতর্কের ঝড়ের মধ্যে অবশ্য ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। একটি রেডিও চ্যানেলে তিনি বলেন, অ্যাডিডাস সামবাস পছন্দ করেন যারা, সবার কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। শুধু এ কথাই বলতে চাই যে, বহুদিন ধরেই অ্যাডিডাসের কেডস পরি আমি। একবার বড়দিনের উপহারে এই কেডস দিয়েছিল আমার ভাই। তার পর থেকে আমি অনেকবারই অ্যাডিডাসের কেডস পরেছি। তবে তার পোশাকের দিকে এভাবে খেয়াল রেখেছেন আমজনতা, সেটা দেখে অবাক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, দ্য মিরর।