ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

যেসব কারণে কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবি

আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৮ এএম

সদ্য শেষ হওয়া যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনে লেবার পার্টির কাছে ধরাশায়ী হয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি। যে দলটি যুক্তরাজ্যে ১৪ বছর ধরে শাসন করে এসেছে সেই দলের এমন ভরাডুবি অবাক করেছে সবাইকে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরই প্রশ্ন উঠেছে কী কারণে কনজারভেটিভ পার্টি এমনভাবে ধরাশায়ী হলো।

সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবির বিষয়ে একাধিক বিষয় সামনে এনেছে সংবাদমাধ্যমটি। যার মধ্যে রয়েছে ব্রেক্সিট ইস্যু, অবৈধ অভিবাসন নীতি এবং করোনা বিশৃঙ্খলাসহ এর আরও বেশ কিছু ঘটনা।  

২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কনজারভেটিভ পার্টির জন্য একটি বড় ধাক্কা ছিল। কারণ এর পর থেকেই দেশটিতে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘরে–বাইরে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। টেকসই নেতৃত্বের সংকটের কারণে গত ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও পাঁচবার প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন করতে হয়েছে।

কোভিড মহামারির সময় লকডাউন ঘোষণা না করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন কনজারভেটিভ দলের নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ ঘটনায় তাকে একটি তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হতে হয়েছে। লকডাউন চলাকালে ডাউনিং স্ট্রিটের পার্টির খবর ফাঁস হয়ে যাওয়ায় জনগণের ক্ষোভ বেড়ে যায় এবং জনগণ কনজারভেটিভ পার্টির ওপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলতে শুরু করে।

কনজারভেটিভ পার্টির পরাজয়ের পেছনে রয়েছে অবৈধঅভিবাসী ঠেকাতে ব্যর্থ। ফরাসি উপকূল থেকে ছোট নৌকায় করে অবৈধভাবে আসা অভিবাসন ঠেকাতে তেমন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারেনি দলটি। বরং যুক্তরাজ্যে আসা বিদেশি ছাত্র ও কর্মীদের একের পর এক কঠিন শর্তের বেড়াজালে ফেলে অবৈধ হতে অনেকটা বাধ্য করেছে টোরি সরকার।

২০১০ সালে কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা (এনএইচএস) উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ হয়েছে। একই সঙ্গে চিকিৎসকদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ঘন ঘন ধর্মঘটের কারণে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হওয়ার দায়ও কনজারভেটিভ পার্টির ওপরে দিয়েছে সাধারণ মানুষ।

সর্বশেষ পররাষ্ট্রনীতিতে মার্কিন নেতৃত্বের অনুসরণে সুনাকের নেতৃত্বাধীন টোরি সরকার ইউক্রেনকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হিংস্রতায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে ব্যর্থ হয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। এই পদক্ষেপগুলো অনেক ভোটারকে কনজারভেটিভ পার্টি থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল, যার প্রমাণ গতকালের ফলাফলে উঠে এসেছে।

HK/FI
আরও পড়ুন