ইসরায়েল ও লেবানন যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন করার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চুক্তিটি চূড়ান্ত আলোচনার জন্য ইসরায়েলি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। যুদ্ধবিরতির এই চুক্তি কার্যকর হলে দক্ষিণ লেবানন এবং ইসরায়েল সীমান্তে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের অবসান হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েল ও ইরান সমর্থিত লেবাননের হিজবুল্লাহর মধ্যে চলমান সংঘাত বন্ধে ৬০ দিনের একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। প্রস্তাবিত চুক্তির শর্তগুলোতে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার এবং হিজবুল্লাহর উপস্থিতি বন্ধ করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করার সময়েই সংঘাত তীব্রতর হয়েছে। রবিবার লেবানন থেকে ইসরায়েলের দিকে প্রায় ২৫০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়, যার বেশিরভাগ ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভূপাতিত করেছে। পাল্টা জবাবে, ইসরায়েলি বিমান বাহিনী বৈরুতসহ বিভিন্ন এলাকায় হিজবুল্লাহর অবস্থান ও অস্ত্রাগারে হামলা চালায়।
একজন পশ্চিমা কূটনীতিকের মতে, চুক্তির আওতায় ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর খালি করা এলাকাগুলোতে লেবাননের সেনাবাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানো হবে।
লেবাননের পার্লামেন্টের উপ-সভাপতি ইলিয়াস বু সাব বলেছেন, চুক্তির পথে এখন আর কোনও বড় প্রতিবন্ধকতা নেই। তিনি রয়টার্সকে জানান, যুদ্ধবিরতি তদারকির জন্য একটি পাঁচ দেশের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে কাজ করবে, ফ্রান্সও সদস্য হিসেবে থাকবে।