বিশ্বজুড়ে চকলেটের দাম বাড়ছে। গত বছরের শেষদিকে কোকোর দাম প্রায় ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০২৫ সালে চকলেট বার ও কোকো পাউডারের দাম অনেক বেশি।
তাছাড়া এ বছর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোতে দাম যে হারে বেড়েছে, তাতে অনেকের প্রশ্ন কেন হঠাৎ চকলেটের দাম এত বাড়তি?
কোকোর এই দাম বৃদ্ধির পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ হলো আবহাওয়া, যা পশ্চিম আফ্রিকার কোকো উৎপাদনকারী দেশগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই অঞ্চল থেকেই বিশ্বের বেশির ভাগ কোকো আমদানি করা হয়।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ক্লাইমেট সেন্ট্রাল’র বিজ্ঞানীরা একটি গবেষণাপত্রে দেখিয়েছেন, আইভরি কোস্ট ও ঘানায় কোকো চাষ মৌসুমে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কোকোগাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আবহাওয়ার পরিবর্তনের পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় কোকোর সাম্প্রতিক দামের ঊর্ধ্বগতির জন্য দায়ী। পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে নতুন বন উজাড়বিরোধী আইন কার্যকর হওয়ায় কৃষকেরা কোকোর জমি সম্প্রসারণ করতে পারছেন না, ফলে সরবরাহ সীমিত থেকে যাচ্ছে।
এ ছাড়া এই অঞ্চলে কোকো গাছের একটি বড় অংশ এখন বৃদ্ধ এবং সেগুলোর প্রতিস্থাপন হচ্ছে না। এদিকে, কোকো সোয়েলন শুট ভাইরাস (সিএসএসভি) ছড়িয়ে পড়ার ফলে কোকোর ফলন কমে গেছে।
সম্প্রতি বাজার গবেষণা সংস্থা ট্রপিক্যাল রিসার্চ সার্ভিস জানিয়েছে, এই ভাইরাসের বিস্তারের কারণে আইভরি কোস্টে কোকোর উৎপাদন অর্ধেক হয়ে যেতে পারে।
এ ছাড়া বিনিয়োগকারীরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির ফলে সৃষ্ট আর্থিক অস্থিরতা থেকে বাঁচতে স্বর্ণ কিনে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছেন। ঘানা আফ্রিকার শীর্ষ স্বর্ণ উৎপাদক এবং বিশ্বে ষষ্ঠ বৃহত্তম। ফলে অনেক কৃষক তাদের জমি অবৈধ খননকারীদের কাছে বিক্রি করছেন, যারা স্বর্ণের খোঁজে বিস্তীর্ণ জমি ধ্বংস করে ফেলেছে।