বাংলাদেশে পুশ-ইন করা সোনালী খাতুন নামে এক অন্তসত্ত্বা নারী ও তার ৮ বছর বয়সী সন্তানকে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে ও দ্য হিন্দু।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোনালী খাতুন ও তার ছেলেসহ দুই পরিবারের ছয়জনকে বাংলাদেশে পুশ-ইন করা হয় গত জুন মাসে। তারা সবাই ভারতের নাগরিক। এ ব্যাপারে আদালতের দারস্থ হয়েছিলেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।
মানবিক কারণে সোনালী খাতুন ও তার ছেলেকে ফেরত নেওয়ার কথা বলা হলেও বাকি চারজনের কথা উল্লেখ করা হয়নি প্রতিবেদনে।
এদিকে ভারতের প্রধান বিচারপতি সুরিয়া কান্ত এবং বিচারপতি জয়মালা বাগচিকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ পশ্চিমবঙ্গের সরকারকে সোনালী খাতুনের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট বলেন, কিছু ক্ষেত্রে মানবিক কারণের প্রতি আইনকে নমনীয় হতে হয়। এই মামলাটি আলাদা; কারণ তারা নিজেদের ভারতীয় দাবি করেন।
জবাবে ভারতের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, সরকার তাদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মানবতার খাতিরে সোনালী খাতুন এবং তার ছেলে সাবিরকে ফিরিয়ে আনা হবে। তবে, তাদের ওপর নজরদারি বজায় থাকবে এবং মামলায় প্রভাব না রাখার শর্তে তাদের ফেরত আনা হবে।
গত জুনে সোনালী ও তার ছেলেকে দিল্লি থেকে ধরে এনে বাংলাদেশে পুশ-ইন করা হয়। পুলিশ তখন দাবি করেছিল, তারা অবৈধ বাংলাদেশি। কিন্তু, ভারতীয় নাগরিক সোনালীর বাবা বধু শেখ এই পুশ-ইনের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন। তার সঙ্গে যুক্ত হয় আরেকটি পরিবার। তাদের কয়েকজন সদস্যকেও বাংলাদেশে অবৈধভাবে পুশ-ইন করা হয়েছে।
দুই পরিবারের পিটিশনের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট ছয়জনকে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেন। কিন্তু, ভারত সরকার এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে গত সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়।
গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট বলেন, সরকারকে এই ব্যক্তিদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে, যেন তারা তারা নাগরিকত্ব প্রমাণের সুযোগ পেতে পারেন।
বুধবার বিচারপতি জয়মালা বাগচি বলেছেন, সোনালী যদি বাবা বধু শেখের সঙ্গে তার বায়োলোজিক্যাল পরিচয় প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে তার ভারতীয় নাগরিকত্ব অক্ষুণ্ণ থাকবে।
