ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর মিশরে

আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০২:২৯ পিএম

মিশরের গিজা অঞ্চলে প্রাচীন বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম ‘দ্যা গ্রেট পিরামিড অফ খুফু’র কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়েছে ‘দ্যা গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়াম (জিইএম)’। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর হিসেবে পরিচিত, যেখানে এক লাখেরও বেশি প্রত্নসামগ্রী সংরক্ষিত।

জাদুঘরে প্রাক-রাজবংশীয় সময় থেকে গ্রীক ও রোমান যুগ পর্যন্ত প্রায় সাত হাজার বছরের ইতিহাসের প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহ রাখা হয়েছে। বিশেষভাবে এখানে প্রদর্শন করা হচ্ছে প্রাচীন মিশরের বালক সম্রাট তুতেনখামুনের অক্ষত সমাধি থেকে পাওয়া সম্পূর্ণ সংগ্রহ, যা হাওয়ার্ড কার্টার ১৯২২ সালে আবিষ্কার করেছিলেন। এই প্রদর্শনীতে রয়েছে সম্রাটের সোনার মুখোশ, সিংহাসন, রথসহ অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী।

আন্তর্জাতিক মিশরবিদ সমিতির সভাপতি এবং গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়ামের সাবেক প্রধান ডঃ তারেক তওফিক জানিয়েছেন, ‘সমগ্র সমাধি সংগ্রহ একসঙ্গে প্রদর্শন করার মাধ্যমে দর্শকরা তা দেখতে পাবেন যেমনটি হাওয়ার্ড কার্টার আবিষ্কার করেছিলেন। কোনো সামগ্রী গুদামে রাখা হবে না।’

প্রায় বারো বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই জাদুঘরে বছরে অন্তত ৮০ লাখ দর্শক প্রবেশ করতে পারবেন। জাদুঘরটি মিশরের পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। গিজা পিরামিডের গাইড আহমেদ সেদ্দিক বলেন, ‘দ্যা গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়াম মিশরবিদ্যা ও সাংস্কৃতিক পর্যটনের নতুন সোনালী যুগের সূচনা করবে।’

জাদুঘরের আয়তন প্রায় ৫ লাখ বর্গমিটার, যা ৭০টি ফুটবল মাঠের সমান। দেয়ালে খোদাই করা আছে প্রাচীন মিশরীয় লিপি, প্রবেশদ্বারে আছে পিরামিড আকৃতির নকশা। এতে প্রদর্শিত রয়েছে ৩২০০ বছরের পুরনো ফারাও রামেসিস দ্য গ্রেটের মূর্তি, যা ২০০৬ সালে কায়রো থেকে স্থানান্তর করা হয়েছিল।

জাদুঘরের ওপরে তলায় বিশাল জানালা থেকে দর্শকরা গিজা পিরামিড দেখতে পাবেন। জাদুঘরের পরিকল্পনা করা হয়েছিলো ১৯৯২ সালে এবং নির্মাণ শুরু হয় ২০০৫ সালে। তবে আরব বসন্ত, কোভিড মহামারি ও আঞ্চলিক যুদ্ধের কারণে কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছিল।

ডঃ জাহিদ হাওয়াস, যিনি মিশরে দীর্ঘদিন পর্যটনমন্ত্রী ছিলেন, বলেন, ‘এখন আশা করি বিশ্বের বিভিন্ন জাদুঘর থেকে প্রত্নবস্তু ফেরত আনা হবে, যেমন ব্রিটিশ মিউজিয়ামে থাকা রোসেট্টা স্টোন, লুভ জাদুঘরে থাকা ডেনডেরা জোডিয়াক, এবং বার্লিন থেকে নেফারতিরি মূর্তি।’

ব্রিটিশ জাদুঘর এই বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো অনুরোধ পাননি বলে জানিয়েছে।

NB/SN
আরও পড়ুন