ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়াও

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে ফিলিস্তিনকে আজ স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। একইদিন ফিলিস্তিনিদের বহুদিনের প্রতীক্ষিত স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য ও পর্তুগালও।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) টাইমস অব ইসরায়েল সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ এ কর্মকর্তা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাধা সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি স্বীকৃতির বিষয়টি সহায়ক হবে না। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগের বিরোধিতা করেছেন। একই সময়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সতর্ক করে বলেছেন যে, এর জবাবে ইসরায়েল পশ্চিম তীর দখল করে নিতে পারে।’

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব প্রতিক্রিয়া কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়ছে। এগুলো বিবেচনাধীন রয়েছে।

এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেবেন।

এর আগে চলতি বছরের জুলাইয়ে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে যদি ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয় এবং দীর্ঘমেয়াদি টেকসই শান্তিচুক্তির প্রতিশ্রুতি না দেয়, তবে যুক্তরাজ্য তাদের অবস্থান পাল্টাবে। এটি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন, কারণ এতদিন ধরে দেশটির সরকারগুলো ধারাবাহিকভাবে বলছিল, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি আসবে কেবল শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এবং সর্বোচ্চ প্রভাব ফেলতে পারে এমন সময়ে।

এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে ইসরায়েলি সরকার, বন্দিদের পরিবার এবং কিছু কনজারভেটিভ নেতা।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এমন পদক্ষেপ ‘সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করবে’। তবে ব্রিটিশ মন্ত্রীরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি শান্তি চুক্তির আশা বাঁচিয়ে রাখতে পদক্ষেপ নেওয়াটা নৈতিক দায়িত্ব। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল