রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে মস্কোর পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহে ৫৫ জনকে পোল্যান্ডে আটক করা হয়েছে। পোলিশ স্পেশাল সার্ভিসের এক মুখপাত্র মঙ্গলবার এএফপি’কে এ কথা জানিয়েছেন।
মুখপাত্র জ্যাসেক ডবরজিনস্কি বলেছেন, ‘পোল্যান্ডের ক্ষতি করার জন্য এই ব্যক্তিদের সকলের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৩০ ধারার অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছে। যা গুপ্তচরবৃত্তি এবং নাশকতার সাথে সম্পর্কিত’।
পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক মঙ্গলবার এক্স-এ লিখেছেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ‘নাশকতার প্রস্তুতির’ সন্দেহে দেশজুড়ে আটজনকে আটক করা হয়েছে।
ডবরজিনস্কি বলেছেন, ‘পোল্যান্ড এবং রোমানিয়াজুড়ে ইউক্রেনে বিস্ফোরক পরিবহনের জন্য এক ধরণের নেটওয়ার্ক তৈরি করার’ অভিযোগে আটক আটজনের মধ্যে তিনজন ইউক্রেনীয় নাগরিকও রয়েছেন।
তিনি আরো বলেছেন, ‘২১ বছর বয়সী এক ইউক্রেনীয়কে পোল্যান্ডের ওয়ারশের কাছে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোমানিয়ায় যাওয়া তার দুই সহযোগীকে বুখারেস্টে রোমানিয়ান সিক্রেট সার্ভিস গ্রেফতার করেছে’।
মঙ্গলবার পোলিশ প্রসিকিউটররা এক বিবৃতিতে বলেছেন, মস্কোর নির্দেশে এই তিনজন ‘আগুন বা বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম ডিভাইস এবং রাসায়নিক পদার্থ সম্বলিত প্যাকেজ’ প্রস্তুত করে ইউক্রেনে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করেছিল।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘পরিবহনের সময় আগুন ধরে যাওয়া বা বিস্ফোরিত হওয়ার কথা ছিল এমন এই প্যাকেজগুলো রোমানিয়ান কর্তৃপক্ষ আটক করেছে। ‘এটিকে জনগণকে ভয় দেখানো’ এবং ইউক্রেনকে সমর্থনকারী ইউরোপীয় দেশগুলোকে ‘অস্থিতিশীল’ করার ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করা হয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে পোল্যান্ড মস্কোকে দেশজুড়ে এবং ওয়ারশ’তে কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডসহ বেশ কয়েকটি কর্মকাণ্ড এবং নাশকতার চেষ্টার অভিযোগ করেছে।
অবশ্য রাশিয়া বারবার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় পোল্যান্ড দেশটিতে রাশিয়ান কূটনীতিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং দক্ষিণে পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পোজনান এবং দক্ষিণে ক্রাকোতে দু’টি রাশিয়ান কনস্যুলেট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।
পোল্যান্ড, ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য, যার মাধ্যমে পশ্চিমা অস্ত্র ও গোলাবারুদ ইউক্রেনে পরিবহন করা হয়। সূত্র : এএফপি/বাসস