রাশিয়ায় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় দৈনন্দিন কাজে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে দেশটির নাগরিকরা। গণপরিবহনের ভাড়া দেয়া থেকে শুরু করে অসুস্থ শিশুদেরও কর্মক্ষেত্র থেকে পর্যবেক্ষণ করতে পারছেন না তাদের বাবা-মায়েরা।
দেশটির সরকারের দাবি, ইন্টারনেটের এই শাটডাউন ইউক্রেনের ড্রোন হামলা থেকে তাদের রক্ষা করার জন্য। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শাটডাউনের এই পদ্ধতি ড্রোন আক্রমণ কমাতে পারে না।
ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের চলাকালে সরকার অনুমোদিত কিছু তালিকাভুক্ত ওয়েবসাইটে কেবল প্রবেশ করা যাচ্ছে। এর ফলে জনগণের ওপর রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি এবং ডিজিটাল স্বাধীনতা হারানোর ব্যাপারে জনমনে উদ্বেগ বাড়ছে।
নতুন এই বিধিনিষেধের কারণে বিদেশী ও অব্যবহৃত সিম কার্ড বন্ধ করে দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির মতো জরুরি পরিষেবার মিটার ও গাড়িসহ বিভিন্ন ডিভাইস, যেগুলো মোবাইল নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভরশীল, সেগুলো চালাতে সমস্যা হচ্ছে।
বার্তা আদানপ্রদানের জনপ্রিয় অ্যাপ টেলিগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ চালাতেও সমস্যা হচ্ছে। এর পরিবর্তে রাশিয়ার নিজস্ব বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ ‘ম্যাক্স’ ব্যবহারে উৎসাহিত করছে সরকার, যাকে ব্যক্তি-নিরাপত্তার হুমকি হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি এই অ্যাপ ব্যবহারকারীর তথ্য শেয়ার করতে পারে বলেও জানিয়েছেন তারা।
রাষ্ট্র-আরোপিত এই বাধাকে উপেক্ষা করে অনেকে অবশ্য ভিপিএন ব্যবহার করে ইন্টারনেট চালাচ্ছেন। তবে তাদেরও নিয়মিতভাবে ব্লক করে দিচ্ছে সরকার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এর মাধ্যমে সরকার জনগণকে রাষ্ট্র অনুমোদিত প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারে আরো কঠোর বিধিনিষেধ আসতে পারে।