রাশিয়ার তেল শোধনাগারে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা

আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪১ এএম

রাশিয়ার একটি তেল শোধনারগার লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। এতে শোধনাগারটির বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং সেটি দেখভালের দায়িত্ব থাকা দুই জন আহত হয়েছেন।

যে শোধানাগারটিকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী, সেটির নাম তুয়াপস অয়েল রিফাইনারি। এটি রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ ক্রাসনোদারে কৃষ্ণ সাগরের তীরে অবস্থিত। ইউক্রেনের মূল ভূখণ্ড থেকে শোধনাগারটির দূরত্ব ৩৫০ কিলোমিটার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে রুশ সেনাবাহিনীর ক্রাসনোদার শাখার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ড্রোন হামলার পর সেই শোধনাগার এবং তার আশপাশের ৩ হাজার ২২৯ বর্গফুট এলাকাজুড়ে আগুন ধরে যায়। আগুন দ্রুত নেভানো সম্ভব হলেও ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায়নি।

কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সে সম্পর্কে অবশ্য বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি বিবৃতিতে।

তুয়াপস তেল শোধনাগারটি রাশিয়ার রাষ্ট্রয়ত্ত তেল উত্তোলন ও বিক্রেতা কোম্পানি রোসনেফটের মালিকানাধীন। কৃষ্ণ এবং আজভ সাগর অঞ্চলে রাশিয়ার যেসব তেল শোধনাগার রয়েছে— সেসবের মধ্যে এটি অন্যতম বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ।

ইউক্রেনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তেল শোধনাগারে হামলার এই খবর বেশ গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করা হয়েছে। সংবাদে প্রদর্শিত ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে রাতের আঁধারে তুয়াপসের বিশাল এলাকজুড়ে জ্বলছে আগুন।

তবে এ ব্যাপারে ইউক্রেনের সরকার কিংবা প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি বা তথ্য প্রদান করা হয়নি।

গত চার বছর ধরে যুদ্ধ চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। যুদ্ধের শুরু থেকেই রুশ সেনাবহিনী ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবারাহ ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করে অধিকাংশ হামলা চালিয়ে আসছে, অন্যদিকে রাশিয়ার তেল উত্তোলন ও পরিশোধন কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে ইউক্রেন। সূত্র : রয়টার্স

SN
আরও পড়ুন