ফ্লোটিলার ম্যারিনেটের অবস্থান দেখুন লাইভ ট্র্যাকারে

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দিকে রওনা হওয়া ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামক ত্রাণবাহী বহরের সবগুলো নৌযান ইসরায়েলি বাহিনী আটক করলেও ‘দ্য ম্যারিনেট’ নামের একটি মাত্র নৌযান এখনো পথচলা অব্যাহত রেখেছে।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার), গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার। পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এ ছোট নৌযানটিতে রয়েছেন ছয়জন আরোহী। 

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এক ভিডিও বার্তায় ম্যারিনেটের ক্যাপ্টেন জানান, ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিলেও তা মেরামত করা হয়েছে এবং জাহাজটি এখন আবার চলার উপযোগী।

আয়োজকরা জানান, ম্যারিনেট এখনো স্টারলিংক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সংযুক্ত, এবং এর লাইভ ট্র্যাকার ও লাইভস্ট্রিম চালু রয়েছে। ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে তারা লেখেন, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়, এটি অবরোধ, সহিংসতা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতীক।’

আয়োজকদের বক্তব্য অনুযায়ী, ম্যারিনেট ফিরে যাবে না। তারা লিখেছেন, গাজা একা নয়। ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।

ফ্লোটিলার অন্য নৌযানগুলো আটক করে তাতে থাকা অধিকারকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েল। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন সুপরিচিত সুইডিশ জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।

ইসরায়েলের এ পদক্ষেপের প্রতিবাদে বিভিন্ন দেশে নিন্দা ও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। কয়েকটি দেশ ইসরায়েলের এ আচরণকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।