ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৫৩

আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩৪ এএম

অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলা ক্রমশই তীব্র আকার ধারণ করেছে। সর্বশেষ একদিনের হামলায় অন্তত ৫৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়াও গাজা সিটিতে অবস্থানরতদের ‘সন্ত্রাসী’ বা ‘সন্ত্রাসীদের সমর্থক’ আখ্যা দিয়ে শহর ছাড়ার জন্য শেষবারের মতো হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলায় গাজা সিটি এখন কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন বহু মানুষ নিহত হচ্ছে, ভেঙে পড়ছে আবাসিক ভবন ও স্কুল। হাজার হাজার মানুষ বাধ্য হয়ে দক্ষিণের দিকে পালাচ্ছেন, তবে পালানোর পথেও হামলার মুখে পড়ছেন তারা। ইসরায়েল গাজা সিটিতে অবস্থানরত লাখো মানুষকে শহর ছাড়ার জন্য ‘শেষ সুযোগ’ দিয়েছে এবং সতর্ক করেছে যে নির্দেশ না মানলে তাদের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হবে।

এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ এক্সে লিখেছেন, গাজা সিটিতে থেকে যাওয়া সবাইকে ‘সন্ত্রাসী কিংবা সন্ত্রাসীদের সমর্থক’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

গাজার চিকিৎসা সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার গাজা সিটিতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। চলমান দুর্ভিক্ষে খাদ্য সংগ্রহে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা এখন প্রায় ২ হাজার ৬০০, আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৯ হাজার।

আল জাজিরাকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের এই আগ্রাসনে গাজায় মোট প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ হাজার ২২৫ জনে। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৩৮ জন। আর এ বছরের মার্চে ইসরায়েল একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার পর থেকে নিহত হয়েছেন ১৩ হাজার ৩৫৭ জন।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, গাজা সিটিতে থেকে যাওয়া মানুষকে সন্ত্রাসী বা সন্ত্রাসীদের সমর্থক হিসেবে আখ্যা দেওয়া মানে হলো পরিকল্পিত গণহত্যার ইঙ্গিত। এতে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও যারা শারীরিকভাবে চলাফেরা করতে অক্ষম, তাদের গণহারে হত্যা করা হতে পারে।

 

NB/SN
আরও পড়ুন