গাজায় হামাস ও স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, নিহত ২৭

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের মাত্র দুই দিনের মাথায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা হামাসের সঙ্গে নতুন করে স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। এতে উভয় পক্ষ মিলিয়ে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন।

রোববার (১২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষ শুরু হয় শনিবার (১১ অক্টোবর) থেকে। ঘটনাস্থল ছিল গাজা সিটির দক্ষিণাংশে অবস্থিত তেল আল-হাওয়া পাড়া। হামাসের শত শত যোদ্ধা  অভিযান চালাতে গেলে দুগমুশ বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘটনাটি এতটাই তীব্র ছিল যে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। বাসিন্দারা নিরাপত্তাহীনতায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এক বাসিন্দা বলেন, এই প্রথম মানুষ ইসরায়েলি হামলা থেকে নয়, নিজেদের লোকদের কাছ থেকে পালিয়ে যাচ্ছিল।

হামাস পরিচালিত গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নগরের ভেতর একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর আস্তানা ঘিরে ফেলে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হলে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হয়। এ ঘটনায় হামাসের ৮ জন নিরাপত্তা সদস্য নিহত হন।

অন্যদিকে, গাজার জর্ডান হাসপাতাল সূত্র জানায়, এই সংঘর্ষে দুগমুশ গোত্রের ১৯ সদস্য নিহত হয়েছেন।

দুগমুশ গোষ্ঠী গাজার সবচেয়ে শক্তিশালী ও প্রভাবশালী গোষ্ঠীগুলোর একটি। হামাসের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনাপূর্ণ। অতীতেও একাধিকবার তারা হামাসের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে।

হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা গাজার অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। হামাস হুঁশিয়ার করে বলেছে, প্রতিরোধ আন্দোলনের বাইরের কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠী যদি স্ব-উদ্যোগে অস্ত্র ধরে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র : বিবিসি।