যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে চায় সৌদি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে সৌদি আরব। সম্ভাব্য এই চুক্তিটি নভেম্বর মাসে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের ওয়াশিংটন সফরের সময় স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক ফিনান্সিয়াল টাইমস।

খবরে বলা হয়, আলোচনাধীন এই চুক্তিটি কাতার-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা চুক্তির অনুরূপ হতে পারে। ওই চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র কাতারের ওপর আক্রমণ হলে তা নিজেদের ওপর আক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

ট্রাম্প প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ফিনান্সিয়াল টাইমস-কে জানান, ‘চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে আলোচনা চলছে, তবে এখনো বিস্তারিত চূড়ান্ত হয়নি।’

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আমাদের আঞ্চলিক কৌশলের একটি শক্তিশালী ভিত্তি।’ তবে সম্ভাব্য চুক্তির বিস্তারিত জানাতে তারা অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

এই বিষয়ে মন্তব্য জানাতে ফিনান্সিয়াল টাইমস ও রয়টার্স-এর অনুরোধে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি হোয়াইট হাউস, সৌদি সরকার কিংবা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

বিশ্লেষকদের মতে, সৌদি আরব এই চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাইছে, যা ওয়াশিংটন দীর্ঘদিন ধরে রিয়াদ ও তেলআবিবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বিবেচনা করছে।

সম্প্রতি সৌদি আরব পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তানের সঙ্গেও একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ওই চুক্তিতে বলা হয়, একটি দেশের বিরুদ্ধে যেকোনো হামলা উভয় দেশের নিরাপত্তার ওপর হুমকি হিসেবে বিবেচিত হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে সৌদি আরবের এই কৌশলগত অবস্থান দুই অঞ্চলেই গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।