সাড়ে তিন বছরের যুদ্ধের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময় সম্পন্ন করল রাশিয়া ও ইউক্রেন। ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে অনুষ্ঠিত এই বিনিময়ে দুই পক্ষই ৩৯০ জন করে মোট ৭৮০ যুদ্ধবন্দিদের মুক্তি দিয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুক্রবার (২৩ মে) ছাড়া পাওয়া এই যুদ্ধবন্দিদের অর্ধেক অর্থাৎ ৩৯০ জন ইউক্রেনের, বাকি অর্ধেক রাশিয়ার। উভয় দেশই ২৭০ জন করে সামরিক এবং ১২০ জন করে বেসামরিক বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।
ইস্তানবুলে দুই দেশের সরাসরি আলোচনার পর এই বন্দি বিনিময় চুক্তির ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল। সেসবের আওতায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এই যুদ্ধবন্দিদের। তুরস্কের বৈঠকে উভয় দেশের ৫০০ জন করে মোট ১ হাজার যুদ্ধবন্দির মুক্তির ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল রাশিয়া ও ইউক্রেন। তাদের মধ্যে শুক্রবার মুক্তি পেলেন ৭৮০ জন। আজ শনিবার (২৪ মে) ও আগামীকাল রোববার (২৫ মে) বাকি ২২০ জনকে ছেড়ে ও দেওয়া হবে।
যুদ্ধবন্দিদের মুক্তিদানের ব্যাপারটিকে স্বাগত জানিয়েছেন এ যুদ্ধের প্রধান মধ্যস্থতাকারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। শুক্রবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, মস্কো-কিয়েভ উভয়পক্ষের সমঝোতাকে স্বাগত। এই সমঝোতা কি অদূর ভবিষ্যতে আমাদেরকে বড় কোনো সুসংবাদের দিকে নিয়ে যাবে?
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক ঘোষণায় বলেন, আমরা আমাদের মানুষদের ঘরে ফিরিয়ে আনছি। প্রতিটি নাম, প্রতিটি তথ্য আমরা যাচাই করছি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, যেসব রুশ নাগরিক ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাতে কুরস্ক সীমান্ত এলাকায় আটক হয়েছিলেন, তারাও এই বিনিময়ের অংশ ছিলেন। তাদের বেলারুশ হয়ে রাশিয়ায় আনা হয়েছে চিকিৎসা পরীক্ষার জন্য।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বিতীয় দফার আলোচনার প্রস্তুতি চলছে। রাশিয়া বলেছে, ওই আলোচনায় তারা একটি ‘স্মারকলিপি’ ইউক্রেনের হাতে তুলে দেবে। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি।