রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তবর্তী রুশ প্রদেশ ক্রুস্কের একটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। শনিবার (২৩ আগস্ট) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে রোববার (২৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের বরাতে জানা গেছে, হামলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রান্সফরমার সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়, যার ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৫০ শতাংশ কমে গেছে এবং কেন্দ্রটির অর্ধেক অংশ অচল হয়ে পড়েছে।
হামলার পরপরই ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে এবং কিছু সময় পর তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এতে অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া অন্য কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার রাতে ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার ১৩টি প্রদেশ লক্ষ্য করে শতাধিক বিস্ফোরকবাহী কামিকাজি ড্রোন পাঠানো হয়। রাশিয়া দাবি করেছে, তাদের ড্রোন প্রতিরক্ষা ইউনিট ৯৫টি ড্রোন ধ্বংসে সফল হয়েছে। ক্রুস্ক অঞ্চলেই ধ্বংস করা হয় অন্তত ১০টি ড্রোন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সাড়ে তিন বছরের ইতিহাসে ইউক্রেন বারবার রাশিয়ার জ্বালানি অবকাঠামোকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করেছে। চলতি আগস্টের শুরুতেও রুশ সরকারি তেল কোম্পানি ‘সিজরান’-এর একটি পরিশোধন কারখানায় হামলা চালিয়েছিল ইউক্রেনীয় বাহিনী।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের হামলা রাশিয়ার জ্বালানি নির্ভরতা, উৎপাদন ক্ষমতা ও সামরিক সরবরাহ চেইনের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে, যা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কৌশলগত প্রভাব ফেলতে পারে।