জম্মু-কাশ্মীরে আকস্মিক বন্যায় নিহত ৩৮

জম্মু-কাশ্মীরের কিশতেয়ার জেলার চাশোটি গ্রামে ভয়াবহ মেঘফাটায় সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১০০ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দুইজন সিআইএসএফ (সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স) সদস্যও।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে ঘটে যাওয়া এই ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর সেনাবাহিনী, পুলিশ, এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ উদ্ধার তৎপরতায় যোগ দিয়েছে।

কিশতেয়ারের পুলিশ কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ৩৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দুর্গত এলাকায় উদ্ধার অভিযান চলছে, আহতদের হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতিও চলছে।

চাশোটি গ্রামটি মাচাইল মাতা যাত্রার শুরু বিন্দু এবং মা চণ্ডীর মন্দিরে যাওয়ার পথে শেষ মোটরচালিত গ্রাম। ভয়াবহ বন্যার কারণে এ বছরের বার্ষিক যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক পঙ্কজ শর্মা।

তিনি জানান, সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ নরেশ সিংহের সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযানের তদারকি করছেন তারা।

মর্মান্তিক এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ স্বাধীনতা দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ‘অ্যাট হোম’ চা-আড্ডা বাতিল করেছেন। এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ দেওয়া বার্তায় তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুরের সাংসদ জিতেন্দ্র সিংহ বলেন, এটি ব্যাপক মাত্রার মেঘফাটা, যা বিপুল প্রাণহানির কারণ হতে পারে। জেলা প্রশাসন ও উদ্ধারকারী বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টার উদ্ধার ব্যবস্থাও চালু করা হবে।

লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা উদ্ধার অভিযান জোরদারের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করা হবে। সিভিল, পুলিশ, সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ ও এসডিআরএফকে সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং সব ধরনের ত্রাণ ও সহায়তা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি