পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরের গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে করা মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমকে এ জন্য দায়ী করেছেন তিনি।
রোববার (১২ অক্টোবর) পশ্চিমবঙ্গ উত্তরের জেলা আলিপুরদুয়ার বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে গিয়ে এ কথা বলেন মমতা। পাশাপাশি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তার বক্তব্যকে ‘খণ্ডিত’ না করারও আহ্বান জানিয়েছেন।
মমতা বলেন, ‘অনেক জায়গায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে তারা কেয়ার করে না। এমনকি নির্যাতিতাকে আদালতে যাওয়ার সময়ে রাস্তায় জ্বালিয়ে মেরে দেওয়া হয়। আমরা এই ধরনের কোনও ঘটনাকে সমর্থন করি না। বাংলায় এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের ছেলেমেয়েরা এখানে পড়তে আসেন। তাদের আমি অনুরোধ করবো, রাতের বেলা বাইরে না বের হতে। কারণ পুলিশ তো জানতে পারে না, কে কখন রাতের বেলা বেরিয়ে যাচ্ছে’।
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলির একটা দায়িত্ব আছে পড়ুয়াদের প্রতি যত্ন নেওয়ার। পুলিশ তো বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বসে থাকবে না। কেউ রাত সাড়ে বারোটায় বেরিয়ে কোথাও যায়,ঘটনার আমি নিন্দা করছি, যে যেখানে যেতে পারে, সেটা তার অধিকার। কিন্তু হোস্টেলের একটা সিস্টেম আছে। আমি পুলিশকে বলেছি দ্রুত পদক্ষেপ নিতে’।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘বিভিন্ন রাজ্যের ছেলেমেয়েরা এখানে পড়তে আসেন। তাদের আমি অনুরোধ করবো, রাতের বেলা বাইরে না বের হতে।’ এই মন্তব্য নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। আসরে নেমে পড়ে বিরোধীরাও। পাশাপাশি পড়ুয়াদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কেবল প্রাইভেট কলেজের উপরে কেন চাপিয়ে দেওয়া হলো, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। বিষয়টি নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলার চরম পতনের দায় মুখ্যমন্ত্রী এড়াতে পারেন না। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এখনও তিনি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের উপর দোষ চাপিয়েছেন’।