কোরবানি ঈদের ছুটি

ইচ্ছেমতো ভাড়া নিচ্ছেন রিকশা-সিএনজি চালকরা

আপডেট : ১৯ জুন ২০২৪, ০১:২৭ পিএম

ঈদুল আজহা উপলক্ষে পাঁচদিনের ছুটিতে পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে রাজধানী ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন অধিকাংশ মানুষ। এতে করে ব্যস্ত ঢাকা ফাঁকা হয়ে পড়েছে। এই সুযোগে বকশিশের নাম করে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন রিকশা-সিএনজি চালকরা। ২০ টাকার রিকশা ভাড়া ঈদ উপলক্ষে বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। সাধারণ মানুষ এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাজধানীর মালিবাগ, রামপুরা, বনশ্রী, বাসাবো, খিলগাঁওয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। রিকশা-সিএনজি চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়াতে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

ঈদের পরদিন মামার বাসায় মাংস নিয়ে যাচ্ছিলেন রাজু নামে এক যুবক। তিনি বলেন, ৫০ টাকার রিকশা ভাড়া চাচ্ছে ১৫০ টাকা। দ্বিগুণেরও বেশি। ঈদ আসলেই এই যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়।

সিএনজিও ভাড়া বেশি। সিএনজির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় এক যাত্রীকে । তিনি বলেন, মালিবাগ থেকে বাসাবো সিএনজিতে ভাড়া ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা। আর আজ ভাড়া চাচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। মানুষকে চাপে ফেলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে নিচ্ছে চালকরা। হাতে অনেকগুলো ব্যাগ সিএনজি ছাড়া উপায় নেই। তাই বাধ্য হয়ে উঠতে হচ্ছে।

নোমান নামে এক যুবক বলেন, সড়কে রিকশা কম দেখা যাচ্ছে। গন্তব্যে যেতে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও রিকশা পাচ্ছি না। যা কয়েকটি পাওয়া যাচ্ছে বাড়তি চাহিদার কারণে কয়েকগুণ ভাড়া হাঁকাচ্ছেন তারা।

এ বিষয়ে চালকরা বলেন, আমরা গরীব মানুষ। ঈদে বকশিশের আশায় গাড়ি নিয়ে বাহির হই। ঈদ উপলক্ষে একটু ভাড়া চাই এই যা। আপনারা না দিলে কে দিবে।

রহিম নামে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক বলেন, বকশিশ হিসেবে ভাড়া একটু বেশি নিচ্ছি। ঈদের পরে আবার ন্যায্য ভাড়াই নিবো।

এদিকে রিকশা ভাড়া বেড়ে দ্বিগুণ হওয়ায় অনেকেই বাসে ভরসা পাচ্ছেন। বাসেও বকশিশ হিসেবে ১০ টাকা করে বেশি নিচ্ছিন বাসের সহকারীরা।

রাস্তা ফাঁকা হলেও কিছুক্ষণ পরপর গণপরিবহন দেখা যাচ্ছে ঢাকার রাস্তায়। ঢাকায় যে অল্পসংখ্যক মানুষ রয়ে গেছেন তারা ঈদের ছুটিতে আত্মীয়-স্বজনের বাসায় যাচ্ছেন, ঘুরতে বের হচ্ছেন। এ কারণে স্বল্পসংখ্যক যাত্রী নিয়েই গণপরিবহন চলছে।

MHR/WA