পবিত্র ঈদুল ফিতরের তৃতীয় দিনে জনস্রোত নেমেছে রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায়। চিড়িয়াখানায় বেশিরভাগ দর্শনার্থীই সপরিবারে এসেছেন। যেহেতু ছোটদের পছন্দের জায়গা তাই সবাই পরিবারসহ এসেছেন।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী বুধবার (২ এপ্রিল) প্রায় দেড় লাখ মানুষ চিড়িয়াখানায় এসেছেন।
জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘চিড়িয়াখানায় আজও ব্যাপক জনসমাগম হয়েছে। আমাদের তথ্য অনুযায়ী প্রায় দেড় লাখ দর্শনার্থী এসেছেন যা মঙ্গলবারের (১ এপ্রিল) তুলনায় কিছুটা কম। মঙ্গলবার প্রায় দুই লাখ মানুষ এসেছিলেন। মূলত ঈদের দ্বিতীয় দিনই চিড়িয়াখানায় সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় যা পরে কিছুটা কমতে থাকে।
সরেজমিনে জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন পশুর খাঁচার সামনে এসে তারা ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। শিশুরা অভিভাকদের কাছে পশু পাখিদের নাম জানতে চাচ্ছে। কেউ সামনে থাকা চিড়িয়াখানার ম্যাপটি বোঝার চেষ্টা করেন। তবে শিশুদের মধ্যে ছিল আলাদা উচ্ছ্বাস। তারা পশুর খাঁচার সামনে দীর্ঘ সময় কাটান, অবাক চোখে পশুদের পর্যবেক্ষণ করেন। কেউ কেউ পশুদের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য আওয়াজ করে ডাকার চেষ্টা করেন।
দর্শনার্থীদের অনেকেই ঢাকার আশপাশের এলাকা সাভার, গাজীপুর থেকে এসেছেন। কেউ কেউ ঢাকায় আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে এসে এখানে ঘুরতে এসেছেন। এ ছাড়া যারা এবার ঢাকায় ঈদ করছেন, তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসেছেন। আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে অনেকে একাধিকবার এসেছেন।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এখানে বাঘ, ভালুক, হরিণ, সিংহ, বানর, জলহস্তী, কুমির, সাপ, ইম্পালা, গয়াল, লামা, ময়না, টিয়া, ক্যাঙারু, জিরাফ, জেব্রা, হাতি, ময়ূর, উটপাখি, ইমু, শঙ্খচিল, কুড়াবাজ, তিলাবাজ, গন্ডার, হায়েনাসহ ১৩৬ প্রজাতির তিন হাজার ৩৪টি প্রাণী ও পাখি রয়েছে।
এবার চিড়িয়াখানার অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তিনটি জেব্রা শাবক ও ১১ মাস বয়সী দুটি বাঘের শাবক দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করেছে।
