ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ এর থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন। তার বাড়ি নেত্রকোণা সদর উপজেলার ঠাকুরাকোণা ইউনিয়নের বাঘরোয়া গ্রামে। তিনি বাঘরোয়া গ্রামের মিরাজ আলী ও লুৎফুর নাহার দম্পতির ছেলে।
জলদস্যুদের কাছে জিম্মির খবর পাওয়ার পর থেকে রোকন উদ্দিনের পরিবারে চলছে আহাজারি। বৃদ্ধ মা বাবার আহাজারি যেন থামছেই না। একটু পর পর ডুকরে কাঁদছেন আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা তানিয়া আক্তারও।
পরিবারের বরাতে জানা গেছে, রোকন উদ্দিন তার পরিবারের সদস্যদের সাথে সর্বশেষ প্রথম রোজার দিন কথা বলেন। এরপর থেকে আর যোগাযোগ হয়নি। পরিবারের সাথে কথা বলার সময়ই রোকন উদ্দিন জানিয়েছিলেন, তাদের জাহাজ জলদস্যুর কবলে পড়েছে। তখন থেকেই পরিবারের সাথে রোকন উদ্দিনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
রোকন উদ্দিনের বাবা মিরাজ আলী জানান, পাঁচ ভাই ও বোনের মধ্যে রোকন তৃতীয় সন্তান। মেধাবী হওয়ায় রোকন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে ২০১৫ সালে চাকরিতে যোগদান করে। ২০২৩ সালের শেষ দিকে জাহাজ কোম্পানিটিতে যোগদান করে।
তিনি বলেন, জাহাজ জিম্মির খবর জানার পর থেকে আমাদের মনে কোনো শান্তি নেই। একটু পর পর পরিবারের সবাই কান্নাকাটি করছে। আমরা আমাদের বুকের ধন রোকন উদ্দিনকে সুস্থভাবে ফিরে পেতে চাই।
