বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, গত এক বছরে গোপালগঞ্জে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য গড়ে উঠেছে। সেনাবাহিনীর গাড়ি, সাঁজোয়া যানে আগুন লেগেছে, এমনকি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। সম্প্রতি পুলিশের গাড়ি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী নৃশংস বর্বরতা চালিয়েছে। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকালে লক্ষ্মীপুর বালিকা বিদ্যা নিকেতন মাঠে জেলা বিএনপির আয়োজনে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শহীদদের স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি জাতীয় নাগরিক পার্টি-এসপিপির সাম্প্রতিক ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, এনসিপি সারাদেশে জনসংযোগমূলক প্রোগ্রাম দিয়েছে। হঠাৎ তারা ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি ঘোষণা করল কেন? মাত্র একদিনের ব্যবধানে পরিবর্তন কেন হলো? এটি খতিয়ে দেখা দরকার। তারা কীভাবে গোপালগঞ্জে প্রবেশ করল, আবার কীভাবে বের হয়ে এল?
‘মুজিববাদ’-এর কবর রচনা নিয়ে এনসিপি নেতাদের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মুজিববাদের কবর দিতে গোপালগঞ্জে যাওয়ার দরকার নেই। মুজিববাদের কবর মুজিববাদই দিয়েছে। ৭২, ৭৩, ৭৪, ৭৫ এবং গত ১৭ বছর শেখ হাসিনাই মুজিববাদের কবর রচনা করেছে।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমানের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় সভায় বক্তারা আরও বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে যে অকুতোভয় সন্তানেরা তাদের জীবন বিলিয়ে দিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বিতাড়িত করেছেন, আজ আমরা তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং বেদনার সাথে স্মরণ করছি। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে দীর্ঘ ১৬ বছরের স্বৈরাচারী হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। হাসিনার শাসনামলে পার্শ্ববর্তী দেশ তাদের নীলনকশা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এদেশের সম্পদ লুট করেছে এবং তাদের নির্দেশে বিরোধী দলের উপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে বিরোধী মত দমনের চেষ্টা চালিয়েছে। এই পার্শ্ববর্তী দেশই প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছে।
বক্তারা আরও বলেন, জুলাই-আগস্টের শহীদদের আত্মত্যাগের সম্মান জানাতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। রাজনৈতিকভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে কুৎসা রটালে বা বিভেদ সৃষ্টি করলে ফ্যাসিস্ট হাসিনার আওয়ামী লীগ আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।
