বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় ছেলের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বাবা মো. শাহ আলম খান (৬৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ছেলেকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পুলিশে সোপর্দ করে।
স্থানীয়রা জানায়, আটক শাহারিয়ার শিমুল (৩৫) মাদকাসক্ত। তার বাবা মো. শাহ আলম খান (৬৫) বিদ্যুৎ বিভাগের সাবেক কর্মী ছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার (২৭ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের খাটিয়াল পাড়া গ্রামের সিকদার বাড়ির সামনে সাবেক বিদ্যুৎ কর্মী মো. শাহ আলম খানকে (৬৫) তার ছেলে মো. শাহারিয়ার শিমুল (৩৫) রাস্তার উপরে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ সময় তিনি মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন।
এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি বাবা মো. শাহ আলম খানের গলায় আটকে থাকে এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ জনিত কারণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এসময় ঘাতক পুত্রকে স্থানীয়রা আটক করে গাছের সাথে বেঁধে রেখে পুলিশে সোপর্দ করে।
প্রতিবেশীরা জানান, নিহত মো. শাহ আলম দুই বিয়ে করেন। ঘাতক শিমুল তার প্রথম স্ত্রী মৃত শেফালীর পুত্র। সে মাদকাসক্ত ও নেশার টাকার জন্য প্রতিনিয়ত বাবাকে চাপ প্রয়োগ করতো। প্রতিবেশীরা আরও জানায়, টাকা-পয়সা নিয়ে রোববার সকাল ১১ টায় পিতার সাথে পুত্রের বাগ-বিতণ্ডা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেন।
উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক শিমুলকে স্থানীয়রা আটক করলে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
