ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

আপডেট : ২৫ জুন ২০২৪, ০২:৩২ এএম

ছাত্রলীগ নেত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্পেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাঈল হোসেন রায়হানের বিরুদ্ধে। ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে ওই মামলায় আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে, মামলার বিষয়টি জানাজানির পর তার পিতাসহ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা ইসমাঈল হোসেন রায়হান। সোমবার (২৪ জুন) ভোরের একটি ফ্লাইটে সে দেশ ত্যাগ করে বলে জানা গেছে।

এর আগে রোববার বিকেলে মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের ওই ভুক্তভোগী নেত্রী বাদি হয়ে নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্ত রায়হান নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ নগর গ্রামের মোল্লা বাড়ীর ইউসুফ আলীর ছেলে। ওই মামলায় ছাত্রলীগ নেতা রায়হান ছাড়াও তার পিতা ইউসুফ আলী (৬৫), ভাই বাবু (৩৮) ও খালাতো বোন বেগমগঞ্জ উপজেলার সেতুভাঙ্গা এলাকার ফরাজি বাড়ির সবুজ ফরাজির স্ত্রী কলিকে (৩৫) আসামি করা হয়েছে। 

আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের এক নেত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে ছাত্রলীগ নেতা ইসমাঈল হোসেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঐ নেত্রীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও করেন ইসমাঈল। এ সময় মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে রাখা হয়। ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ভিকটিমের কাছে ২৫ লাখ টাকা দাবি করে এই নেতা। ভিকটিম ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করলেও আরও ১০ লাখ টাকা দিতে বলা হয়। পরে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন এই ছাত্রলীগ নেত্রী। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়।

অভিযুক্ত রায়হানের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে কল দিলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন। তবে মাদারীপুরের ছাত্রলীগ নেত্রীর সাথে কিভাবে তার সম্পর্ক হয় প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সাথে পরিচয় হয় এবং তার রেন্ট-এ কারের ব্যবসা থাকায় সেখান থেকে গাড়ী ভাড়া করেন। সেই সূত্র ধরে ওই নারী রায়হানের বাড়িতে এসেছে বলে স্বীকার করেন।

রায়হান সোমবার ভোরে দেশ থেকে চলে গেছেন বলে জানান। বর্তমানে ইতালিতে আছেন। সামাজিকভাবে তাকে হেয় করার জন্য ওই নারী এ মামলা দায়ের করেছেন বলে দাবি করেন রায়হান। 

AS
আরও পড়ুন