ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বড়দিনের আগের রাতে পাহাড়ে পুড়ল ত্রিপুরাদের ১৭ ঘর

‘তিন-চার বছর আগে একদল লোক এসে দাবি করে পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের স্ত্রীর নামে ওই পাড়ার জমি ইজারা দেওয়া হয়েছে। তারা পাড়ার বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করে সেখানে একটি বাগান করেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ওই পাড়ার বাসিন্দারা আবার সেখানে এসে ঘর তৈরি করে বসবাস শুরু করেন।’

আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৬ পিএম

বান্দরবানে লামা উপজেলায় সরই ইউনিয়নের টংগ্যাঝিরি ত্রিপুরা পাড়ায় বড়দিনের আগের রাতে আগুনে ১৭টি বসতঘর ভস্মীভূত হয়েছে। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।

সরই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন জানান, বড়দিন উপলক্ষে বুধবার রাতে পাশের টংগ্যাঝিরি পাড়ায় অনুষ্ঠান চলছিল। বেতছড়া পাড়ার বাসিন্দা সবাই সে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তখন আগুনে বেতছড়া পাড়ার ১৯টি ঘরের মধ্যে ১৭টিই পুড়ে গেছে। পাড়ার সব ঘরবাড়ি বাঁশ ও শনের তৈরি। টংগ্যাঝিরি থেকে বেতছড়া পাড়ায় আসতে আধাঘণ্টার মত সময় লাগে। আগুন লাগার বিষয়টি টের পেয়ে সবাই এসে দেখে, ১৭টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানায়, গির্জা না থাকায় ওই পাড়ার বাসিন্দারা বড়দিন উপযাপন করতে পুরোনো পাড়ায় আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। মধ্যরাতের পর দুর্বৃত্তরা পাড়ায় ঢুকে আগুনে দিয়ে পালিয়ে যায়।

তারা অভিযোগ আরও জানান, ‘তিন-চার বছর আগে একদল লোক এসে দাবি করে পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের স্ত্রীর নামে ওই পাড়ার জমি ইজারা দেওয়া হয়েছে। তারা পাড়ার বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করে সেখানে একটি বাগান করেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ওই পাড়ার বাসিন্দারা আবার সেখানে এসে ঘর তৈরি করে বসবাস শুরু করেন।’

এ বিষয়ে লামা ইউএনওর দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূপায়ন দেব বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত ১৭টি পরিবারকে ৩৪টি কম্বল এবং শুকনা খাবার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকেও তাদের সহায়তা দেওয়া হয়েছে।’

অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদেরকে বলেছি, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সে বিষয়ে লিখিত আকারে দিতে। সেখানে বেনজির আহমদের নামে কোনো জমির মালিকানা নেই। তবে যার নামেই থাকুক, জায়গা নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে লিখিত আকারে অভিযোগ দিতে বলেছি।’

রূপায়ন দেব বলেন, ‘এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্তরা কোনো-কোনো গ্রুপ থেকে চাঁদা আদায়ের কথাও বলছিল, সবকিছু মিলে তারা লিখিত আকারে অভিযোগ দিক। এখানে জোর করে জমি কেড়ে নেওয়ার বা চাঁদা আদায়ের সুযোগ নেই।’

লামা থানার ওসি এনামূল হক ভূঞা বলেন, ‘আগুন লাগার খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তরা কিছু অভিযোগের কথা বলেছেন, সেগুলো নিয়ে তদন্ত চলছে।’

NC
আরও পড়ুন