ঢাকা
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত

বাবার কাঁধে পরপারের উদ্দেশ্যে উক্যছাইংয়ের শেষ যাত্রা

আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৯ পিএম

ধর্মীয় রীতি অনুসারে শোকাবহ পরিবেশে বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী উক্যছাইং মারমাকে (১৪) তার নিজ বাড়িতে সমাহিত করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে তাদের ধর্মীয় রীতিনীতি পালন শেষ করে তাকে শ্মশানে নিয়ে যায়। উক্যছাইং মারমাকে(১৪) বৌদ্ধ ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী তাকে সমাহিত করা হয়।

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার মেধাবী ছাত্র উক্যছাইং মারমা গত ২১ জুলাই জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

উক্যছাইং মারমার ক্যন্টেনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষিকা শারমিন আক্তার তার বিষয়ে বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন, তিনি বলেন, উক্যছাইং মেধাবী ও বিনয়ী ছিলেন এবং সৃজনশীল চিন্তা ভাবনাও ছিল তার মধ্যে। আমি তাকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পেয়েছি, পরে উচ্চ শিক্ষার লক্ষে ঢাকায় নিয়ে যান তার পরিবার।

তার বাবা উসাইমং মারমা বলেন, আমার ছেলে অত্যন্ত বিনয়ী এবং মেধাবী ছিলেন। উক্যছাইং বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। তা আর হলো না। গত ২১ জুলাই আমার কাছে একটা কল আসে দুপুরে ওপর দিক থেকে বলে আপনি কোথায় আছেন আমি বললাম আমি রাজস্থলী। তখন ওপার থেকে বলেন আপনার ছেলে হাসপাতালে আপনাকে দ্রুত আসতে হবে না হয় কোন আত্মায়ী থাকলে তাদের পাঠান। তখন আমার আত্মীয়দের পাঠালাম এবং আমি রাত ১২ টায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে পৌঁছাই এবং ডাক্তার বলেন আপনার ছেলে শতভাগ বার্ন হয়েছে। তার জন্য দোয়া করেন। এ কথাগুলো বলতে বলতে শুধু কান্না করছেন। তিনি বলেন, তার ভালো কথা বলে শেষ করতে পারবো না।

অন্যদিকে তার (উক্যছাইং) মা কোনোভাবে কথা বলতে পারছেন না, বার বার অজ্ঞান হয়ে পড়েন ছেলের শোকে।

উক্যছাইং মারমার বাবা-মাসহ আত্মীয় প্রতিবেশি বন্ধু-বান্ধব এবং সকলেরই একটি কথা এভাবে আর মৃত্যু চাই না। বিশেষ করে জন বহুল এলাকায় আর কোনো ধরনের বিমান প্রশিক্ষণসহ ঝুঁকিপূর্ণ প্রশিক্ষণ নয়। যেখানে জনসাধারণের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে সেখানে এমনটা না করার দাবী জানিয়েছেন তারা।

MMS
আরও পড়ুন