জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের প্রতি সমর্থন জানিয়ে পঞ্চগড়-১ আসন থেকে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কাজী মো. সায়েমুজ্জামানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা না দিয়ে এনসিপি প্রার্থী সারজিস আলমের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নির্দেশনার ভিত্তিতে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। সে কারণেই পঞ্চগড়-১ আসনে আমি মনোনয়নপত্র জমা দিইনি। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীতে জোটের প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করা হবে।’
এদিকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর এনসিপির প্রার্থী সারজিস আলম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা একটি স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। বিগত নির্বাচনের মতো পেশিশক্তি ও কালো টাকার দাপট, সহিংসতা ও হানাহানি আমরা আর দেখতে চাই না। অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আজ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অনেক মানুষের রক্ত, ত্যাগ ও অঙ্গহানির বিনিময়ে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। সেই অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশকে সামনে রেখে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির জেলা আহ্বায়ক এবিএম জুলফিকার আলম নয়নসহ জামায়াত ও এনসিপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়-১ ও পঞ্চগড়-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য দুই আসনে ১২ জন করে মোট ২৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। তবে সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত পঞ্চগড়-১ আসনে ৮ জন এবং পঞ্চগড়-২ আসনে ১১ জনসহ মোট ১৯ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ১১ প্রার্থী