ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

আদিলুর রহমান ও নাসির উদ্দিনের ২ বছরের সাজা হাইকোর্টে বাতিল

আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২৪, ০২:০৫ পিএম

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলায় মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সাবেক সম্পাদক ও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও সংস্থাটির পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানকে দেওয়া দুই বছরের সাজার রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিচারপতি আবদুর রবের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ বিচারিক আদালতের দেওয়া এই সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল মঞ্জুর করে এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে আদিলুর-এলানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী রুহুল আমিন ভুঁইয়া। তিনি বলেন, হাইকোর্ট আদিলুর রহমান ও নাসির উদ্দিনের আপিল মঞ্জুর করেছেন। নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজার রায় বাতিল করেছেন। ফলে তাঁরা মিথ্যা ওই মামলার দায় থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত তথা খালাস পেলেন। সত্যের জয় হয়েছে। মিথ্যা পরাজিত হয়েছে।

২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারার মামলায় মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। একই মামলায় অধিকারের পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিনকেও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

সাইবার ট্রাইব্যুনালের এই রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন আদিলুর রহমান ও নাসির উদ্দিন। তখন তাঁরা কারাগারে ছিলেন।

গত বছরের ১০ অক্টোবর হাইকোর্ট আদিলুর রহমান ও নাসির উদ্দিনের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে জরিমানা স্থগিত করে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন। গত বছরের ১৫ অক্টোবর তাঁরা জামিনে কারামুক্তি পান। অন্যদিকে এই মামলায় আদিলুর রহমান ও নাসির উদ্দিনের সাজা বৃদ্ধি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করেন।

২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান নিয়ে অসত্য-বিকৃত তথ্য প্রচারের অভিযোগে আদিলুর রহমান ও নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। এ মামলায় আদিলুর রহমানকে ২০১৩ সালের ১০ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সে সময়ে তিনি ৬১ দিন কারাভোগ করেন।

২০১৩ সালের ১১ আগস্ট আদালতের অনুমতি নিয়ে অধিকারের কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে দুটি কম্পিউটার ও দুটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়। সে বছরের ৪ সেপ্টেম্বর আদিলুর রহমান ও নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আদিলুর রহমান ও নাসির উদ্দিন ৬১ জনের মৃত্যুর ‘বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা’ তথ্যসংবলিত প্রতিবেদন তৈরি ও প্রচার করে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেন। আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের অপচেষ্টা চালান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি দেশে-বিদেশে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেছেন।

মামলায় আইসিটি আইনের ৫৭ (২) ধারায় ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি আদিলুর রহমান ও নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

MB/FI
আরও পড়ুন