ঢাকা
সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

দুদকের মামলায় খালাস পেলেন মাহমুদুর রহমান

‘হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, সম্পদের কোনো তথ্য গোপন না করা সত্ত্বেও শুধুমাত্র রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতেই এই মামলা করা হয়েছিল।’

আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪০ পিএম

সম্পদের হিসাব দাখিল না করার অভিযোগে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। 

১০ বছর আগে এ মামলায় বিচারিক আদালত মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত।

২০১০ সালের ১৩ জুন দুদকের উপপরিচালক মো. নূর আহাম্মদ গুলশান থানায় মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ওই মামলাটি করেন।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মাহমুদুর রহমানের আপিল মঞ্জুর করে সোমবার (০৩ মার্চ) এ রায় দেন বিচারপতি সহিদুল করিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী পারভেজ হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ।

রায়ের পর আইনজীবী পারভেজ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘২০১৫ সালে বিচারিক আদালত যখন এই মামলার রায় দেন, তখন মাহমুদুর রহমান জেলে ছিলেন। তিন বছরের সাজা খাটা হয়ে গেছে। তারপরও তিনি বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন নিয়েছিলেন।

দীর্ঘ শুনানির পর হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায়টি বাতিল করে রায় দিলেন। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, সম্পদের কোনো তথ্য গোপন না করা সত্ত্বেও শুধুমাত্র রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতেই এই মামলা করা হয়েছিল।’

আইনজীবী আরও জানান, বিনিয়োগ বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমানকে সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিস দেয় দুদক। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হিসাব না দেওয়ায় ওই বছর ১৩ জুন গুলশান থানায় এ মামলা করা হয়।

২০১৫ সালের ১৩ আগস্ট  রাজধানীর বকশি বাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে অবস্থিত বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

পরে মাহমুদুর রহমান হাইকোর্টে আপিল করেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (১) ধারার ক্ষমতাবলে বিনিয়োগ বোর্ডের সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমানের নিজ নামে, তার স্ত্রীর নামে ও তার ওপর নির্ভরশীলদের নামে-বেনামে থাকা অর্জিত স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ, দায়দেনা, আয়ের উৎস ও ওই সম্পদ অর্জনের বিবরণী দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করতে বলা হয়। সেই আর্থিক বিবরণী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা না দেওয়ায় মামলাটি করে দুদক।

AA
আরও পড়ুন