ঢাকা
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

আদানি গ্রুপের মামলায় যা জানালো আদালত

আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩০ পিএম

বিদ্যুৎ চুক্তি নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত ভারতের আদানি গ্রুপ সিঙ্গাপুরে সালিশি আদালতে মামলা চালাতে পারবে না বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুমের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি বজলুর রহমানের নেতৃত্বাধীন একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এর আগে আদানি গ্রুপ জানায়, বাংলাদেশে রপ্তানি করা বিদ্যুতের দাম সংক্রান্ত বিরোধ সমাধানে দুই পক্ষই আন্তর্জাতিক সালিশি প্রক্রিয়ায় যেতে সম্মত হয়েছে। তবে বাংলাদেশের সরকার জানিয়েছে, আলোচনায় অগ্রগতি থাকলেও এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

আদানি গ্রুপ বলছে, চুক্তি অনুযায়ী যেকোনো মতানৈক্য সমাধানে আন্তর্জাতিক সালিশি প্রক্রিয়াই একমাত্র পথ। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে পাওনা ২০ কোটি ডলার নিয়েই মতানৈক্য হয়েছে। এই অঙ্কের অর্থ নিয়েই তারা সালিশিতে যেতে চাইছে।

তারা আরও জানিয়েছে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড যে দাম দিতে সম্মত হয়েছে, সেই অনুযায়ী নিয়মিত অর্থ তারা পেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পুরনো বকেয়া হিসাবে সাড়ে ১৩ কোটি ডলার এখনও পাওনা আছে। এই অর্থ ১০ নভেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল তারা।

এদিকে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে তারা আলোচনা করছেন, তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।

তবে সালিশি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার কথা আদানি গ্রুপ ঘোষণা করার ঠিক আগেই বাংলাদেশের সরকার ইঙ্গিত দিয়েছিল যে দেশটির বিদ্যুৎখাতে আগের সরকারের আমলে যে-সব চুক্তি হয়েছিল, তাতে অনেক দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেছে।

ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডায় অবস্থিত ১৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করে আদানি গ্রুপ। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পুরোটাই বাংলাদেশে পাঠানো হয়। এছাড়া ভারত সরকারিভাবেও বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করে থাকে। গত বছর অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাদের সঙ্গে বিদ্যুতের দাম নিয়ে আদানি গ্রুপের সঙ্গে মতানৈক্য চলছে।

DR/AHA
আরও পড়ুন