ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিগত সরকারের সময়ে নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়ম ও দুর্নীতি অনুসন্ধান করতে গঠিত তদন্ত কমিটি আট মাসেও চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারছে না। কমিটির অভিযোগ, তথ্য সংগ্রহে বিভিন্ন দপ্তরের অসহযোগিতা, সাবেক উপাচার্যদের লকারের গোপন নথি গায়েব এবং গুরুত্বপূর্ণ ফাইল কাটাছেঁড়া হয়েছে।
প্রশাসন গত ১৬ মার্চ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে।
২০০৯ সালের ৯ মার্চ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত নিয়োগ-সংক্রান্ত অনিয়ম খতিয়ে দেখে ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু আট মাসেও কাজ শেষ হয়নি। গত আগস্টে কমিটি একটি খসড়া প্রতিবেদন উপাচার্যের কাছে জমা দেয় এবং পরে তদন্ত চারটি ভাগে বাড়ানো হয়।
কমিটি জানায়, পুরোনো মিডিয়া রিপোর্ট, পূর্বের তদন্ত প্রতিবেদন এবং সিন্ডিকেটের নথির ওপর ভিত্তি করে তদন্ত শুরু হলেও প্রয়োজনীয় তথ্য মিলছে না অনেক জায়গায়।
সাবেক উপাচার্যদের লকারের সিক্রেট ফাইলসহ গুরুত্বপূর্ণ নথি নেই। রেজিস্ট্রার দপ্তর, সংস্থাপন শাখাসহ কয়েকটি বিভাগ তথ্য দিতে গড়িমসি করছে বলেও অভিযোগ করেন সদস্যরা। এতে জড়িতদের বিরুদ্ধে শক্ত নথিপত্র সংযুক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এসব অনিয়মে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ববর্তী প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা ও শিক্ষক জড়িত থাকার তথ্যও পেয়েছেন তারা।
কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান বলেন, ‘১৫ বছরের অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করেছি, কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে বহু বাধা এসেছে। অনেক তথ্যই পাচ্ছি না, অনেকটাই গোপন রাখা হয়েছে। আমরা যথাযথ প্রমাণ উপস্থাপনের চেষ্টা করছি। আশা করছি মাসের শেষে প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘কমিটি এ বিষয়ে আমাকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। তারা জানালে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
সরকারি স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ