ঢাকাই সিনেমার আলোচিত-সমালোচিত অভিনেত্রী পরীমণিকে নিয়ে কিছুদিন আগে সামাজিক মাধ্যমে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল, পরীমণি নাকি গায়ক শেখ সাদীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন, খুব শিগগির তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন।
এবার সেই আগুনে ঘি ঢালেন অভিনেত্রীর বাসার কাজের মেয়ে পিংকি আক্তার।
শনিবার সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাকে বলতে শোনা গেছে—পরীমণি আর শেখ সাদী এক বিছানায় ঘুমোন। এক ঘরে থাকেন। এক থালায় খাওয়া-দাওয়া করেন। গায়কের হাতে নায়িকা মারধরও খান। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওতে অভিযোগকারিণী আরও দাবি করেন— হাঁটুর বয়সি গায়কের হাতে বেধড়ক মার খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পরীমণি। ঈদের আগে হাসপাতালে ভর্তিও হয়েছিলেন তিনি। সেই পদ্ধতিতেই নায়িকা মেরেছেন তাকেও। তিনি জ্ঞান হারিয়েছিলেন।
পিংকি আরও বলেন, আমার তখনও জ্ঞান ছিল। সেই সময় পরীমণি আমার মুখে হাত বোলাতে বোলাতে বলছিলেন— আমাকেও তো এভাবেই মারে। এভাবেই মার খেয়ে মুখ বুজে সহ্য করি।
এ ঘটনা প্রকাশ্যে এনে পিংকির পাল্টা যুক্তি— পরীমণিকে যদি নির্যাতনের কারণে হাসপাতালে যেতে হয়, তা হলে তিনি কেন একই কারণে চিকিৎসা পাবেন না? তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার কাজ তার পছন্দ না হতে পারে। কিন্তু তাকে বেতন দিয়ে বিদায় করে দিলেই তো মিটে যায়। শারীরিক নির্যাতন করার কোনো অধিকার নেই। তবে এখানেই থেমে থাকেননি পিংকি।
তিনি সরাসরি বলেন, শুধুই শেখ সাদী নন, পরীমণি একাধিক পুরুষকে সঙ্গ দেন।
পিংকি আক্তার বৃহস্পতিবার পরীমণির বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে পিংকি বলেন, ‘পরীমণি তার দত্তক কন্যাকে খাবার খাওয়ানোর ঘটনায় তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন এবং মারধর করেন।’
পরীমণি তাকে একের পর এক মাথায় মারতে থাকেন। তার মারধরে পিংকী তিনবার ফ্লোরে পড়ে যায়। এরপর পরীমণি তার বাম চোখে অনেক জোরে একটি থাপ্পড় মারেন। এতে তার চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
