ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প দরকার  

আপডেট : ০৪ জুন ২০২৪, ১০:১৫ পিএম

খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান বলেছেন, মানুষের জন্যে আশ্রয়ণ প্রকল্প হতে পারলে সুন্দরবনের হরিণ আর বাঘের জীবন বাঁচানোর জন্যেও আশ্রয়ণ প্রকল্প হতে পারে। মঙ্গলবার (৪ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। 

সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান বলেছেন,  সুন্দরবনের হরিণের সংখ্যা ১০ বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু আমরা এই জীবিত হরিণ ধরে রাখতে পারছিনা। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে সুন্দরবনে কত-শত হরিণ  মারা গেছে তার ঠিক নেই।  বন বিভাগ বলছে ১০০ হরিণ মারা গেছে। বন বিভাগ শুধু যেসব হরিণ  মারা গিয়ে ভেসে এসেছে সেগুলো গণনা করেছে। আর যেসব হরিণ মারা গিয়ে বনের মধ্যে, গাছের মধ্যে আটকে গেছে সেগুলোকে গুনতে পারেনি। তাই সুন্দরবনে  ঠিক কী পরিমান হরিণ মারা গেছে তা আমরা সঠিকভাবে বলতে পারিনা। তিনি বলেন, বন্য পশুদের জন্যে বনভূমিতে ওদের মতো করে আশ্রয়ণ প্রকল্প করে দিতে পারলে এভাবে আর পশু মারা যাবে না।

মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে 'ঘূর্ণিঝড় রিমাল দুর্গত উপকূলের বর্তমান পরিস্থিতি ও জরুরী করণীয়' বিষয়ের উপর ধারণা পত্র উপস্থাপন করেন, উন্নয়ন সংস্থা 'লিডার্স' এর অ্যাডভোকেসি অফিসার তমালিকা মল্লিক। 

তমালিকা মল্লিক বলেন, ভৌগলিক অবস্থান, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দূর্যোগ, ভঙ্গুর অবকাঠামো, দারিদ্রতা, দীর্ঘমেয়াদী লবণাক্ততা, সংকটাপন্ন কৃষি, প্রভৃতির কারণে দক্ষিণ-পশ্চিম (সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট) উপকূলীয় এলাকা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।এ পরিস্থিতিতে ওই এলাকাকে বিশেষ এলাকা বা জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করে দীর্ঘমেয়াদী মহাপরিকল্পনার উদ্যোগ নেওয়া দরকার।

উন্নয়ন সংস্থা 'লিডার্স' এবং নাগরিক সংগঠন 'সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন' আয়োজিত 'ঘূর্ণিঝড় রিমাল দুর্গত উপকূলের বর্তমান পরিস্থিতি ও জরুরী করণীয়' শীর্ষক মিট  দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন 'সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন' এর সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য (সাতক্ষীরা) লায়লা পারভীন সেজুতি, ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল,  শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মীর মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

RY/WA
আরও পড়ুন