ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী আজ

আপডেট : ০৮ মে ২০২৪, ০২:৪৬ পিএম

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী আজ। সোমবার (৮ মে) নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এই কবিকে স্মরণ করছে তার অগণিত ভক্ত। দেশজুড়ে কবিগুরুর জন্মদিন ‘রবীন্দ্রজয়ন্তী’ উৎসব হিসেবে উদযাপিত হবে। এবার জাতীয়ভাবে কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য ‘সোনার বাংলা স্বপ্ন ও বাস্তবতা: রবীন্দ্রনাথ থেকে বঙ্গবন্ধু’। এই প্রতিপাদ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বর্ণিল সব আয়োজন থাকছে।

কলকাতার বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে জোড়াসাঁকোর বাড়িতে কবির জন্ম ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সরদা সুন্দরী দম্পতির চতুর্দশ সন্তান। শৈশব থেকেই তিনি ঠাকুর পরিবারের উচ্চতর সাংস্কৃতিক ও মানবিক মূল্যবোধের পারিবারিক পরিবেশে বেড়ে ওঠেন। সেই সময়ের বহু জ্ঞানী, গুণী, খ্যাতিমান মানুষের সাহচর্য লাভ করেন।

বরাবরের মতোই রাজধানী ঢাকাসহ কুষ্টিয়ার শিলাইদহ, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, নওগাঁর পতিসরে কবির স্মৃতিবিজড়িত স্থানে সরকারি উদ্যোগে রবীন্দ্রজয়ন্তীর কর্মসূচি পালিত হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা কবির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেছেন, মনুষ্যত্বের বিকাশ, মানবমুক্তি ও মানবপ্রেম ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনবোধের প্রধান পাথেয়। তিনি বলেন, বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। কবি বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলা সাহিত্যকে স্বমহিমায় উদ্ভাসিত করেছিলেন। তৎকালীন পূর্ববঙ্গের সঙ্গে ছিল কবির গভীর সম্পর্ক। পূর্ববঙ্গের দরিদ্র ও অবহেলিত মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ও মানবসমাজ সম্পর্কে উপলব্ধি তাঁর সাহিত্যে গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের জীবন ও সাহিত্যের মধ্যেই আমরা পেতে পারি মানসিক শান্তি ও কাঙ্ক্ষিত অনুপ্রেরণা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, রবীন্দ্র দর্শনের প্রধান বিষয় হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক চেতনা, বিশ্বমানবতাবোধ ও মানুষে মানুষে মিলন। তাকে জীবনমুখী শিক্ষা দর্শনের পথপ্রদর্শকও বলা যায়। বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তার রচনা আলোক শিখা হয়ে বাঙালিকে দেখিয়েছে মুক্তির পথ। মহান মুক্তিযুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গান হয়ে উঠেছিল মুক্তিকামী বাঙালির চেতনাসঞ্চারী বিজয় মন্ত্র। তিনি বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের একান্ত আপনজন। জীবনের যেকোনো সমস্যা-সংকটে তার সৃষ্টি উত্তরণের অনিবার্য উপায়। আজ বিশ্বব্যাপী যে যুদ্ধ-সংঘাত, হিংসা-হানাহানি আর সাম্প্রদায়িকতার নগ্ন উল্লম্ফন, তা নিরসনে রবীন্দ্রনাথ হতে পারেন প্রধান নিয়ামক শক্তি।

MB/FI
আরও পড়ুন