ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

৬ সংবাদপত্র পেল নোয়াব সদস্য সম্মাননা

আপডেট : ০৩ জুন ২০২৪, ০৯:০৩ এএম

সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজ পেপার ওনার্স এসোসিয়েশন (নোয়াব) প্রকাশনার ৫০ ও ২৫ বছর পূর্ণ করা ৬ সংবাদপত্রকে সম্মাননা দিয়েছে। শনিবার (১ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান ক্লাবের দ্য ক্রিস্টাল প্যালেস হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। নোয়াব সভাপতি একে আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সমপ্রচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। সঞ্চালনা করেন সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন- সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম। ৫০ বছর পূর্ণ করা পত্রিকার মধ্যে সংবাদের পক্ষে ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, ইত্তেফাকের পক্ষে সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, দৈনিক আজাদীর পক্ষে নির্বাহী সম্পাদক শিহাব মালেক সম্মাননা গ্রহণ করেন। এ ছাড়া ২৫ বছর পূর্ণ করা দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম রঙিন ট্যাবলয়েড দৈনিক মানবজমিন-এর পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী ও সম্পাদক মাহবুবা চৌধুরী। দৈনিক প্রথম আলো’র পক্ষে সম্পাদক মতিউর রহমান সম্মাননা গ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, গণমাধ্যম জনগণের কথা বলে। জনসচেতনতা ও জনমত গঠনে কাজ করে, গণতন্ত্রকে সুসংহত করে।

স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সংবাদপত্রের উন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাই সংবাদপত্র শিল্পের বিকাশে এর মালিকদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। জনমত গঠন করা, সামাজিক দায়িত্ব পালন করার মতো মৌলিক দায়িত্ব থেকে সংবাদপত্র যেন দূরে সরে না যায়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, মুক্ত গণমাধ্যম আমাদের জন্য খুবই দরকার। একই সঙ্গে দরকার অপতথ্য বন্ধ রাখা। আমরা সমালোচনা শুনতে চাই। আমরা চাই এ ধরনের পরিবেশ বজায় থাকুক। এটা যেন অব্যাহত থাকে। 

প্রথম আলো’র সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, সাংবাদিক হিসেবে আমরা এক জীবনে একটি দেশের মানুষকে জেগে উঠতে দেখলাম, রাষ্ট্রের সৃষ্টির সঙ্গে যুক্ত থাকলাম। একটি রাষ্ট্রকে নতুন করে উত্থান-পতনের মধ্যদিয়ে সামনে এগোতে দেখলাম। নানা অসুবিধা ও বাধা-বিপত্তির মধ্যে স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। 

ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম সাধারণত স্বাধীনতা যুদ্ধের যত মূল্যবোধ আছে, তার পক্ষের। বঙ্গবন্ধুর পক্ষের শক্তিই আমরা ধারণ করি। তারপরও এখন পর্যন্ত নয়টি আইন রয়েছে, যেগুলো সরাসরি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অবস্থান করে। আরও তিনটি এখন প্রক্রিয়াধীন। কিন্তু অর্থ পাচার কিংবা মাদক চোরাচালানের জন্য নয়টি আইন নেই। গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে কেন নয়টি আইন? তিনি বলেন, এই যে আইজিপি বেনজীর আহমেদের কুকর্ম, কার্যকলাপ- আমরা কিন্তু মিডিয়াতে জানতাম। কিন্তু রিপোর্ট করতে সাহস পাইনি। আপনি হয়তো কিছু বলবেন না, সরকার হয়তো কিছু বলতো না। ওই ধরনের একজন পাওয়ারফুল আইজিপি একজন রিপোর্টারকে গুম করতে পারতো। সে যদি তখন করতো তাহলে সরকার কি আমার পাশে দাঁড়াতো? ওই সংবাদপত্রের পাশে কি সরকার দাঁড়াতো- না। আমাদের সেই আত্মবিশ্বাস নেই। ইনস্টিটিউশনাল হেড, পার্টিকুলারলি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার যারা প্রধান হন তারা এত ক্ষমতাধর হন যে, তারা কিন্তু সরকারের অজ্ঞাতেই সাংবাদিকতার ওপর হস্তক্ষেপ করেন।

ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন বলেন, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সংবাদপত্র আরও এগিয়ে যাবে। দৈনিক আজাদীর নির্বাহী সম্পাদক শিহাব মালেক বলেন, আমার দাদা যে উদ্দেশ্যে আজাদীর প্রকাশনা করেছিলেন, আমরা তা এগিয়ে নেয়ার প্রত্যাশা করি।

এ ছাড়া জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন, সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা তপন চৌধুরী, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, ইনকিলাব সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দীন, রামরুর সভাপতি প্রফেসর ড. তাসনিম সিদ্দিকী, নির্বাহী পরিচালক ড. সি আর আবরার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আবু আহমেদ, প্রফেসর রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, প্রথম আলো’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, শেলটেক গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদ, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজ, আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার, আইএফসি বাংলাদেশ অফিসের উপদেষ্টা খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মোহাম্মদ এ (রুমি) আলী, এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমান, ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।  

HK/FI
আরও পড়ুন