বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ভুয়া তথ্য ছড়ানোর শীর্ষে রয়েছে ভারত। নানা অপপ্রচার ও ভুয়া তথ্যে ভরে গেছে ভারতের সংবাদমাধ্যম ও সমাজমাধ্যম। মাইক্রোসফটের সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ভুয়া খবর ছড়ায় ভারত।
জরিপে অংশ নেওয়া অর্ধেকেরও বেশি ভারতীয় জানান, তারা ইন্টারনেট প্রতারণার শিকার হয়েছেন। যা বৈশ্বিক গড় ৫০ শতাংশের চেয়ে বেশি। অন্যদিকে ৪২ শতাংশ ভারতীয় বলেছেন, তারা ফিশিং বা স্পুফিংয়ের সম্মুখীন হয়েছেন।
এ জরিপে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ, অনলাইন বুলিং, অনাকাঙ্ক্ষিত যৌন বার্তা, মিথ্যা তথ্য ও ভুয়া খবরসহ বিভিন্ন অনলাইন ঝুঁকির বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
এদিকে, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ২০২৪ গ্লোবাল রিস্ক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত এখন মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে একটি বড় হুমকির মুখে। ২০২৪ সালের সম্ভাব্য ৩৪টি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে ভারত শীর্ষস্থানে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
এদিকে, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশ সংক্রান্ত বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও সমাজমাধ্যমে ভুয়া তথ্য প্রচারের ঘটনা বেড়েছে।
সম্প্রতি ভারতের আগরতলা থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস দুর্ঘটনায় পড়ার ঘটনাকে দেশটির মিডিয়াগুলো ‘হামলা’ বলে প্রচার করেছে, যা বাংলাদেশ পুলিশের তদন্তে নিছক দুর্ঘটনা হিসেবে প্রমাণিত।
এছাড়া ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনের দাবি, বাংলাদেশে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এরই মধ্যে জানিয়েছে।
‘বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে’ বলে ভারতের মিডিয়া প্রচার করলেও রিউমার স্ক্যানার নিশ্চিত করেছে, এটি একটি ভুয়া খবর।
