মাওলানা জুবায়ের অনুসারী মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের ইজতেমা আয়োজনের আর কোনো সুযোগ নেই। তার অভিযোগ, তারা সন্ত্রাসী কায়দায় জুবায়ের অনুসারীদের ওপর হামলা করে চারজনকে হত্যা করেছে।
বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন নিয়ে টঙ্গীতে সংঘর্ষ, নিহত ৩বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সরকারের সাতজন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ দাবি জানান। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সাদপন্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মামুনুল হক অভিযোগ করে বলেন, ‘তারা বাংলাদেশবিরোধী শক্তির সাথে যোগসাজশ রেখে কাজ করছে। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে শুধু আলেম-ওলামাদেরই নয়, বরং এটি রাষ্ট্র ও প্রশাসনেরও দায়িত্ব।’
তিনি জানান, সাদপন্থীদের হামলায় হতাহতের ঘটনায় আজকের (বুধবার) মধ্যে মামলা করা হবে। সাদপন্থিদের একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে।
ঢামেকেও সংঘর্ষে সাদ-জুবায়ের পন্থিরা
ইজতেমা ময়দানের চারপাশে ১৪৪ ধারা জারিতিনি আরো বলেন, যদি সরকার সাদপন্থীদের ইজতেমা আয়োজনের অনুমতি দেয়, তবে তারা আশা করছেন যে সরকার এমন ভুল করবে না।
এছাড়া, মামুনুল হক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে টঙ্গী ময়দানে লংমার্চ কর্মসূচি হবে কি না, তা কাকরাইল মসজিদে আলোচনার পর জানানো হবে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, যারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। খুনিদের ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) মাঝরাতে গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মাঠ দখল নিয়ে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে। এ ঘটনায় তিনজন নিহত এবং উভয় পক্ষের শতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় টঙ্গীতে ইতোমধ্যে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
