ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন আসিফ মাহমুদ

সীমান্তের কাঁটাতারে আটকে থাকা কিশোরী ফেলানীর ঝুলন্ত লাশের ছবি বিশ্বজুড়ে হৈচৈ ফেলে দেয়। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বর্বরতা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ফেলানী হয়ে ওঠে প্রতিবাদের প্রতীক।

আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:০১ পিএম

ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ১৪ বছর আগে কুড়িগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত তিনি।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে এ তথ্য জানান তিনি। সেখানে ফেলানীর মা-বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে আসিফের তোলা একটি ছবিও যুক্ত করা হয়েছে।

ফেসবুক পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘সীমান্তে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা ফেলানীর পরিবারের দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।’

পোস্ট করা ছবিটির ওপরে লেখা রয়েছে, ‘ফেলানীর ভাই-বোনের পড়াশোনা কর্মসংসথানসহ পরিবারের দায়িত্ব নিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।’

পোস্টটি মাত্র এক ঘণ্টায় ১০ হাজারের বেশি নেটিজেন লাইক এবং লাভ রিঅ্যাক্ট দিয়েছেন। উপদেষ্টা আসিফ ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ায় তার এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন পাঁচ শতাধিক নেটজনতা।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর রামখানা অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নির্মম হত্যার শিকার হয় কিশোরী ফেলানী। দীর্ঘ সাড়ে চার ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল তার মরদেহ। ফেলানীর সেই নির্মম হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পার হয়েছে।

সীমান্তের কাঁটাতারে আটকে থাকা কিশোরী ফেলানীর ঝুলন্ত লাশের ছবি বিশ্বজুড়ে হৈচৈ ফেলে দেয়। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বর্বরতা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ফেলানী হয়ে ওঠে প্রতিবাদের প্রতীক। বিশ্ব মিডিয়ায় ফেলানী খাতুনের মরদেহ কাঁটাতারে ঝুলে থাকার ঝুলন্ত ছবি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় ভারত হত্যাকারী বিএসএফ সদস্যদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দেয়। বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলেও ১৪ বছরেও এ হত্যার সুষ্ঠু বিচার পায়নি ফেলানীর পরিবার।

২০১৫ সালের ২ জুলাই এ আদালত পুনরায় অমিয় ঘোষকে খালাস দেয়। রায়ের পরে একই বছর ১৪ জুলাই ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ ‘মাসুম’ ফেলানীর বাবার পক্ষে দেশটির সুপ্রীম কোর্টে রিট পিটিশন করে।

ওই বছর ৬ অক্টোবর রিট শুনানি শুরু হয়। ২০১৬ এবং ১৭ সালে কয়েক দফা শুনানি পিছিয়ে যায়। পরে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি শুনানির দিন ধার্য হলেও শুনানি হয়নি। এরপর ২০১৯ এবং ২০২০ সালে কয়েকবার শুনানির তারিখ ধার্য হলেও সম্পন্ন হয়নি আজও।

MN
আরও পড়ুন