আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম বৈঠক করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বৈঠক শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিং-এ এসব তথ্য জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংস্কার কমিশনের যেই রিপোর্টগুলো এসেছে, সেই রিপোর্টগুলো নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রত্যেকটা পলিটিক্যাল পার্টি আছে, তাদের সাথে ডায়ালগ শুরু হবে।
শফিকুল আলম বলেন, সংস্কার কমিশনের সদস্যরা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শরিকরা বৈঠকে অংশ নেবে।
বিফ্রিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি প্রেসসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও সহকারী প্রেসসচিব সুচিস্মিতা তিথি।
রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত প্রথম ধাপের ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন শনিবার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
ছাত্র জনতার গণ আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে অক্টোবরে প্রথম ধাপে রাষ্ট্রের ছয়টি খাত সংস্কারে কমিশন গঠন করে।
পরে এসব সংস্কার কমিশন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ঐকমত্য কমিশন গঠন করে, যেটির নেতৃত্বে রয়েছেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এ কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রীয়াজ। যিনি সংবিধান সংস্কার কমিশনেরও প্রধান।
বাকি পাঁচ সংস্কার কমিশন প্রধানরা হচ্ছেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
এখন পর্যন্ত গঠিত ১১ সংস্কার কমিশনের মধ্যে প্রথম দফায় গঠন করা হয় সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ সংস্কার, দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
এরমধ্যে জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ ছাড়া বাকিগুলো গত ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। জনপ্রশাসন ও বিচার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা হয় ৫ ফেব্রুয়ারি।
এখন বাকি রয়েছে নভেম্বরে দ্বিতীয় ধাপে গঠিত আরও পাঁচ কমিশনের (গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম, নারী বিষয়ক এবং স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন) প্রতিবেদন।
৬ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ