শিগগিরই শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
পাশাপাশি শ্রম অধিকার সুরক্ষা, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং শ্রম আইন বাস্তবায়নে আইএলওর কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশ আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে চায় বলেও জানানা উপদেষ্টা।
বুধবার (১১ জুন) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সদর দপ্তরে আয়োজিত ১১৩তম আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে প্ল্যানারি সেশনে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে ট্রেড ইউনিয়ন কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলোর অধিকাংশই প্রত্যাহার করা, ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ পুনর্গঠন এবং আন্তর্জাতিক শ্রম মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে শ্রম আইন সংশোধনের কাজ চলমান রয়েছে।
তিনি জানান, শিগগিরই শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধন করা হবে। এছাড়া শ্রম পরিদর্শন ব্যবস্থা জোরদারে ১২২ জন নতুন শ্রম পরিদর্শক নিয়োগ দেওয়া হবে। পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইএলও কনভেনশন সি-১৫৫, সি-১৮৭ ও সি-১৯০ অনুস্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলছে।
উপদেষ্টা বলেন, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ন্যায্য বাণিজ্য, অভিবাসন সুবিধা ও কারিগরি বৈষম্য কমানোর ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে উন্নয়ন সহযোগিতার তহবিল হ্রাস নিয়ে সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং আইএলওর কাছ থেকে শ্রম সেক্টরের উন্নয়নে আরও কারিগরি সহায়তা আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আইএলওর গভর্নিং বডি ফিলিস্তিনকে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সাধুবাদ জানিয়েছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ সময় ১৮৭টি দেশের প্রতিনিধি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের প্রতিনিধি, ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) প্রতিনিধি এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
